পর্দার ‘শাঁকচুন্নি’ই বাস্তবে সবথেকে বড় অবলম্বন, অন্বেষার সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে অকপট ‘রিনি’ মিশমি

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এতদিন পর যোগ‍্য সম্মান পাচ্ছে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ (Ei Poth Jodi Na Sesh Hoy)। জি বাংলার এই সিরিয়াল শুরু হয়েছে বেশ অনেকদিনই হল। কিন্তু সেভাবে কোনোদিনই টিআরপি তালিকায় ভাল ফল করতে পারেনি। বরং গত কয়েক সপ্তাহ হল সাপ্তাহিক টিআরপি তালিকায় এক থেকে দশের মধ‍্যে থাকছে এই পথ যদি না শেষ হয়। সরকার বাড়ির দুই বউয়ের লড়াই বেশ জমে উঠেছে।

বেশ কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে স্বমহিমায় সিরিয়ালে কামব‍্যাক করেছেন মিশমি দাস (Mishmee Das)। তবে তিনি আর আগের সাদাসিধা খলনায়ক রিনি নেই। তিনি এখন মিস রিটা, যে ঊর্মির দাদা ভিকিকে বিয়ে করে মিসেস হয়েছে। ঊর্মির জীবনে ঝড় তোলার জন‍্যই নতুন রূপে আগমন রিনির।

Urmi rini
প্রথমে ভিকি আর রিনির বিয়েটা একেবারেই মেনে না নিলেও পরে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দুজনের বিয়ে দেয় ঊর্মি। এমনকি মামণির হাত থেকে রিনিকে উদ্ধারও করে সে। যদিও দুজনের শত্রুতা একটুও কমেনি বরং আরো বেড়েছে। অবশ‍্য এই শত্রুতাটা শুধু ক‍্যামেরার সামনেই। ক‍্যামেরা অফ হলেই ফের গলায় গলায় অন্বেষা আর মিশমি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পর্দার রিনি জানান, বাস্তবে তাঁদের সম্পর্কটা একেবারেই সাপে নেউলে নয়। বরং তাঁরাই একে অপরের সবথেকে বড় অবলম্বন। যত প্রতিযোগিতা সব সিরিয়ালের জন‍্যই হয়। অফস্ক্রিনে তাঁদের মধ‍্যে কোনো রেষারেষিই নেই বলে জানান মিশমি।

অন্বেষা মিশমির বন্ধুত্বের নিদর্শন সোশ‍্যাল মিডিয়াতেই মেলে। এর আগে ‘রিনি’র জন্মদিনে ‘ঊর্মি’ লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন মিশমি। টেলিকাস্ট তো রোজই দেখি, বিশ্বাস কর এই কদিনের এপিসোড গুলো দেখছিলাম, টেলিকাস্ট দেখে এটাই মনে হচ্ছে তোকে সেলাম ভাই। আমরা তো জানি কত টা শরীর খারাপ নিয়ে তুই শুটিং করছিস, অ্যাকশন বলা মানেই নিজের সমস্ত এনার্জি দিয়ে তুই ‘মিশমী’ থেকে ‘রিনি’ হয়ে উঠিস বা ‘টিনা’। আমি প্রে করব তুই খুব ভাল থাক, আনন্দে থাক। শুভ জন্মদিন ‘আমার সিনিয়র’।’

মিশমি যখন অভিনয় থেকে বিরতি নিলেন তখন এই পথ যদি না শেষ হয় সিরিয়ালও ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন অন্বেষা। রিনিকে পাত পেড়ে খাইয়েছিলেন তারপর বিদায় দিয়েছিলেন ঊর্মি।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর