বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেড় বছরের লম্বা সফর শেষ। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ (Ei Poth Jodi Na Sesh Hoy) বলেও এক সময় শেষ হয়েই গেল। মনে রাখার মতো একটা গল্প উপহার দিয়ে গেল ঊর্মি সাত্যকি। কলকাতার ঐতিহ্য হলুদ ট্যাক্সিকে ঘিরেও যে প্রেম, পরিবার, লড়াইয়ের গল্প বোনা যায় তা প্রমাণ করে দিল জি বাংলার এই মেগা।
জি এর সবথেকে পুরনো সিরিয়ালগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এই পথ যদি না শেষ হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের দায়িত্ববান, আত্মসম্মানী ছেলে সাত্যকির সঙ্গে ধনী পরিবারের একমাত্র মেয়ে ঊর্মির পরিচয়, প্রেম এবং তারপর বিয়ে, রূপকথা নয়, বাস্তবটাকে দেখিয়েছিল এই সিরিয়াল। ছেলেমানুষ অবুঝ ঊর্মির ধীরে ধীরে দায়িত্বশীল, বিচক্ষণ হয়ে উঠে পরিবারের ভার নিজের কাঁধে নেওয়ার সফরের সাক্ষী থেকেছে দর্শকরা।
শেষমেষ সেই পথ চলায় ইতি। ইতিমধ্যেই সিরিয়ালের শেষ পর্বের শুটিংয়ের দিন এসেই পড়েছে। আর একদিনের শুটিং বাকি শুধু। সেটে সকলেরই মন খারাপ। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে সকলে বাস্তবেই একটা পরিবারের মতো হয়ে উঠেছিলেন। ছেড়ে যেতে মন মানছে না কারোরই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন পর্দার ‘রিনি’ ওরফে মিশমি দাস। তাঁকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন ঊর্মি ওরফে অন্বেষা, এমনি একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আজকের পর আর কেউ আমাকে রিনি ডাকবে না, কাউকে টুকাই দা ও টুকাই দা বলব না, কাউকে শাকচুন্নি বলব না, আমি আর রিনির মতো সাজব না।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘এই পথ আমাকে অনেক দিয়েছে। অভিনয়ের জন্য একটি অস্বাভাবিক চরিত্র, একটি পুরস্কার, হাজার স্মৃতি এবং একটি নতুন স্বীকৃতি। কিন্তু এই পথ আমায় কিছু আশ্চর্যজনক বন্ধুও দিয়েছে, যারা পাশে থাকে, যারা ভালবাসে আর তার সাথে দিয়েছে অন্বেষা হাজরাকে, যাকে আমি একটুও মিস করব না, কারণ ওর সাথে আমি রোজ দেখা করব।”
https://www.instagram.com/p/ClwnGWzSwL9/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
অন্বেষা মিশমির বন্ধুত্বের নিদর্শন সোশ্যাল মিডিয়াতে বহুবার মিলেছে। বাস্তবে তাঁদের সম্পর্কটা একেবারেই সাপে নেউলে নয়। বরং তাঁরাই একে অপরের সবথেকে বড় অবলম্বন। যত প্রতিযোগিতা সব সিরিয়ালের জন্যই হয়। অফস্ক্রিনে তাঁদের মধ্যে কোনো রেষারেষিই নেই বলে জানিয়েছিলেন মিশমি।