বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ,উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র,দুই গ্রেপ্তার

 

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ  দক্ষিণ 24 পরগনা জিবনতলা বাড়িতে গ্রিলের কারখানার পিছনে চলতো বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারবার। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে বারুইপুর পুলিস জেলার জীবনতলা থানার ঝোড়র মোড়ে এই বেআইনি কারখানার হদিশ পেল বারুইপুর জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও জীবনতলা থানার পুলিস। উদ্ধার হল প্রচুর পরিমানে বেআইনি অস্ত্র সাথে অস্ত্র তৈরির অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। গ্রেপ্তার করা হল দুই অস্ত্র কারবারিকে।

ধৃতদের নাম আবু কালাম মিস্ত্রি ও মোজাফর মিস্ত্রি। উদ্ধার হল ১৭ টি সিঙ্গেল ব্যারেল পাইপ গান,৯ টি অসম্পূর্ণ ওয়ান শাটার পাইপগান,দুটি লোহার ব্যারেল, ড্রিল মেশিন,পলিস মেশিন,প্রচুর অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম,দুটি মোবাইল। ধৃতদের শনিবার দুপুরে আলিপুর আদালতে তোলা হবে। বারুইপুর জেলা পুলিস সুপার রশিদ মুনির খান জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিস জেলায় গত দশ মাসে ৩০০ টি বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে,বারুইপুর পুলিস জেলায় ৫ টি অস্ত্র কারখানার সন্ধান মিলল। এর মধ্যে জীবনতলায় ২ টি,বাসন্তি ১টি,কুলতলি ১ টি,ক্যানিং ১ টি।

বারুইপুর পুলিস জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের দক্ষতায় এই বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একদেড় মাস আগেই জীবনতলার খুনখালি থেকেই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছিল স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর অস্ত্র। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিস সুপার রশিদ মুনির খান বলেন,দুদিন আগেই বারুইপুর জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাসের কাছে খবর আসে বেআইনি অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। মোবাইল ট্রাক করতে থাকে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। এরপরেই ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশেষ টিম ও জীবনতলা থানার পুলিস শুক্রবার রাতে যৌথ তল্লাশিতে যায় জীবনতলার ঝরো মোড় এলাকায়। জীবনতলার নাগরতলার বাসিন্দা আবু কালাম মিস্ত্রির বাড়িতে গ্রিল তৈরির কারখানার পিছনে বেআইনি অস্ত্র কারখানা গজিয়ে উঠেছিল। রাতে অস্ত্র তৈরির কাজ হত। এমন ভাবে কাজ হত আশপাশের লোক জানতে পারতো না গ্রিল কারখানার পিছনে কি হচ্ছে।IMG 20191214 WA0004আবু কালাম মিস্ত্রি হয়ে বেআইনি অস্ত্র তৈরি করতো। আর তার বন্ধু মোজাফর মিস্ত্রি কলকাতার বড়বাজার থেকে অস্ত্র তৈরির উপাদান সামগ্রি এনে দিত। আবু কালাম মিস্ত্রি অস্ত্র তৈরির পর তা মোজাফর মিস্ত্রির মাধ্যমে কুলতলি,ক্যানিং,জীবনতলা,বাসন্তি সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলে যেত। ৭থেকে ১০ হাজার টাকায় তা বিক্রি করা হত। পুলিস জানতে পেরেছে,এই অস্ত্র তৈরির পিছনে টাকার জগান দিত মোজাফর মিস্ত্রি। কয়েকমাস আগে থেকেই তারা এই কারবার চালাচ্ছিল। ধৃতদের পুলিস হেফাজতে নিয়ে পুলিস অন্যদের সন্ধান চালানোর পাশাপাশি কোথায় কোথায় অস্ত্র বিক্রি করা হত,তার সন্ধান চালাবে।


সম্পর্কিত খবর