বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের (Serial) প্রিয় ঠাম্মা তিনি। একের পর এক ধারাবাহিকে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের কাছে উপভোগ্য করে তুলেছেন। তারও আগে অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার, সুপ্রিয়া দেবীদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে। দীর্ঘ আট দশকের তাঁর কেরিয়ারে অসংখ্য মণি মুক্তো ছড়িয়ে রয়েছে। মিতা চট্টোপাধ্যায় (Mita Chatterjee), যেকোনো অভিনেতা অভিনেত্রীর কাছেই শিক্ষণীয় তাঁর জীবনকাহিনি।
উত্তম যুগে কামব্যাকের পর আর পেছন ফিরে তাকাননি মিতা চট্টোপাধ্যায়। একটানা আট দশক ধরে কাজ করে চলেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন জিৎ, কোয়েল মল্লিকদের মতো পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গেও। ৯০ পেরিয়েও তাঁর গ্ল্যামার যেমন অমলিন, তাঁর মধ্যে এনার্জিও রয়েছে অফুরন্ত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় জীবনের অজানা কাহিনি শোনালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। অভিনয়ে তাঁর হাতেখড়ি অনেক কম বয়সে। অল ইন্ডিয়া, অল বেঙ্গল মিউজিক কম্পিটিশন, কনফারেন্সে নাচের প্রতিভা দেখিয়ে তখন বেশ নামডাক হয়েছে তাঁর। তখনই বাবার এক বন্ধু প্রথম অভিনয়ের প্রস্তাব দেন ছোট্ট মিতা চট্টোপাধ্যায়কে। পরিবারের তরফে কখনোই কোনো বাধা পাননি। শুরু হয় তাঁর অভিনয় জীবন।
আরও পড়ুন: ছবি মুক্তির আগেই কয়েক কোটির ব্যবসা, ঘরে লক্ষ্মী এনে প্রথম দিনেই রেকর্ড গড়ল ‘গদর ২’
শুধু নাচ নয়, আলি আকবর খাঁ সাহেবের কাছে সেতার শিখেছেন তিনি। বড়ে গোলাম আলি খাঁ এর সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই তাঁর প্রথম পুরস্কার ছিল বাঁধা। সেই মিতা চট্টোপাধ্যায়ই এত প্রতিভা সত্ত্বেও বিয়ের পর স্বেচ্ছায় বিদায় নেন অভিনয় জগৎ থেকে। গুছিয়ে সংসার পাতেন দার্জিলিংয়ে।
আরও পড়ুন: দু বছরেই ভাঙতে বসেছে বিয়ে! ব্যক্তিগত জীবনে কে কাকে নাচায়? তৃণাকে নিয়ে বিষ্ফোরক নীল
স্বামী ছিলেন অধ্যাপক। দার্জিলিংয়ে নিজের সুখের সংসার সাজিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কলকাতায় ফেরার পর তাঁর জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। স্বামীর মৃত্যু হয় তাঁর। এই সময়েই মিতা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবারো আসে অভিনয়ের প্রস্তাব। শ্বশুরবাড়ির তরফেও পেয়েছিলেন সমর্থন।
শুরু হয় তাঁর অভিনয়ের দ্বিতীয় ইনিংস। এবার হিন্দি সিরিয়ালে। সে সময়ে সদ্য ধারাবাহিকের প্রবর্তন হয়েছে। আর থামতে হয়নি মিতা চট্টোপাধ্যায়কে। হিন্দি থেকে অচিরেই বাংলায় ফেরেন তিনি। ছোটপর্দা বড়পর্দা মিলিয়ে সেই থেকেই একটানা কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।