বাংলা হান্ট ডেস্ক : অশান্ত সময়ে বিনোদন জগতেও প্রশ্নের মুখে নারী-নিরাপত্তা। প্রতিক্রিয়ায় কি বললেন ‘মিঠাই’ অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডুর (Soumitrisha Kundu) মা-বাবা? প্রসঙ্গত দেখতে দেখতে পার হয়ে গিয়েছে এক মাস! কিন্তু এখনও বিচার পায়নি তিলোত্তমা। গত মাসের ৮ আগস্ট রাতে কর্মক্ষেত্রেই নির্মমভাবে ধর্ষণ-হত্যা করা হয়েছিল আরজিকরের তরুণী চিকিৎসকের। মাত্র ৩১ বছর বয়সেই অকালে প্রাণ হারিয়েছেন তিলোত্তমা। পরদিন ৯ই আগস্ট সকালে জানা গিয়েছিল তিলোত্তমার মৃত্যুর খবর। খাস কলকাতার বুকে আরজিকরের মত হাসপাতালে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখে গা শিউরে উঠেছিল রাজ্যবাসীর।
অশান্ত পরিস্থিতিতে সৌমিতৃষাকে (Soumitrisha Kundu) নিয়ে চিন্তিত তাঁর বাবা-মা?
সেই থেকেই তোলপাড় গোটা রাজ্য-রাজনীতি দেশ। এরই মধ্যে বাংলা বিনোদন জগতের অন্দর থেকে উঠে আসছে একের পর এক শ্লীলতাহানির অভিযোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে পরিচালকদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে বাংলা সিরিয়ালের ‘মিঠাই’ অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডুর (Soumitrisha Kundu) বাবা-মা অর্থাৎ মা মৌসুমী কুন্ডু এবং বাবা গৌতম কুন্ডুর কি প্রতিক্রিয়া? তা জানতেই তাঁদের সাথে যোগাযোগ করেছিল টিভি নাইন বাংলা।
প্রসঙ্গত খুব অল্প বয়স থেকেই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল সৌমিতৃষার (Soumitrisha Kundu)। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ২০১৬ সালে প্রথম বাংলা সিরিয়ালে অভিনয় করেন তিনি। তবে ‘মিঠাই’ তাঁকে দিয়েছে বাংলা জোড়া খ্যাতি। তাছাড়া খুব ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল সৌমিতৃষার (Soumitrisha Kundu)। কিন্তু মেয়ে যখন অভিনয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখন কি প্রতিক্রিয়া ছিল তার মায়ের? ভয় কি একটুও করেনি? জানতে চাওয়া হলে এদিন অভিনেত্রীর মা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘না করেনি, কারণ ওর স্বপ্ন সত্যি হোক এটাই তো চেয়েছিলাম। মা-বাবা হিসেবে যাতে সেই সাপোর্টটা দিতে পারি, সেই চেষ্টাই করি’।
আরও পড়ুন : ‘কাঞ্চনকে ভাঙিয়ে কাজের সুবিধা …’ প্রতিক্রিয়ায় কি জানালেন বিধায়কের স্ত্রী?
এরপরেই অভিনেত্রীর মায়ের পাল্টা প্রশ্ন, ‘ভয় কোন ক্ষেত্রে নেই বলুন! যে কোনও কাজে যেতে গেলেই তো পথে ঘাটে বেরতে হবে, সেখানেও তো বিপদ ঘটতে পারে। তাই সত্যি আলাদা করে অভিনয় জগত নিয়ে ভাবি না।’ তবে আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই অনেকের মনেই একটা ভয় তৈরী হয়েছে। মৌসুমী দেবীর-ও কি তাই? এবারও একই শুরে তিনি বলেছেন, ‘এক্ষেত্রেও বলব না। কারণ চিন্তা প্রথম থেকেই হত। কোনো মায়ের চিন্তা হয় না বলুন তো। আজ বড় হয়েছে বলে না, ছোট থেকেই চিন্তা। স্কুল, লেখাপড়া, বাড়ি ফিরতে সামান্য দেরী হলেই মনটা ব্যকুল হয়ে পড়ে। আজও তাই। তিলোত্তমাও তো আমার মেয়েরই মতো, খবর দেখি। বড় কষ্ট হয়। এখন এটার বাইরে যেন কিছু ভাবতেই পারি না।’
অন্যদিকে সৌমিতৃষার বাবা গৌতম বাবু বলেছেন, ‘সব সময় মেয়েকে একটা কথা শেখাই, চোখ কান খোলা রাখতে। বিপদের আঁচ তাতে আগাম পাওয়া যায়। বিচক্ষণতার সঙ্গে পথ চলতে। মুহূর্তে কাউকে বিশ্বাস যাতে করে না ফেলে। এইটুকু মেনে চললেই হল। বাকিটা ভগবান আছেন। তিনিই ভরসা।’ ইদানিং যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরগরম বাংলা বিনোদন জগৎ। এপ্রসঙ্গে খোদ সৌমিতৃষা বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে ঈশ্বরের আশীর্বাদে এখন পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। তবে সাবধানে থাকি। পথেঘাটে সর্বত্র চেষ্টা করি সতর্কভাবে চলার। এখন একটাই লক্ষ্য তিলোত্তমা বিচার পাক।’