বাংলাহান্ট ডেস্ক: তোর্সার (torsha) আগমনে আরো জমেছে সিরিয়াল, এমনি দাবি ‘মিঠাই’ (mithai) ভক্তদের। ‘ট্যাঁশ বুড়ি’ যত আগুন লাগানোর চেষ্টা করবে, ততই কাছাকাছি আসবে মিঠাই সিদ্ধার্থ, এমনটা তো আগেও অনেকবার দেখা গিয়েছে। তবে এতদিন তোর্সার বিছানো জালে ফেঁসে গিয়েছে মিঠাই। ঠেকে শিখেছে সে। এখন আর নিজে ফাঁসবে না, বরং মনোহরায় পা রাখার মুহূর্ত থেকে বড় জাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে সে। স্ত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিডও!
কালরাত্রিতে মিঠাইকে যা নয় তাই বলে অপমান করার চেষ্টা করে তোর্সা। পালটা তার গায়ে নকল আরশোলা ছেড়ে, তেতো কফি খাইয়ে জব্দ করে মিঠাই। কম যায় না সিডও। তোর্সাকে বৌদিমণি বলে ডেকে মাঝে মাঝেই রাগিয়ে দিচ্ছে সে। এদিকে মিঠাই স্পষ্ট সিডকে বলে দিয়েছে, বড় জায়ের দিকে আর তাকানো চলবে না। নয়তো সেও ব্যবস্থা করবে।
তা সত্ত্বেও মিঠাইকে রাগানোর জন্য সিড বলে, উপরে গিয়ে একবার তার বড় জায়ের খোঁজ নিয়ে আসতে। ব্যস, শুনেই তো মিঠাই রেগে আগুন। তার পালটা প্রশ্ন, বৌদিমণির জন্য তার আদরের দেওরের বড্ড চিন্তা হচ্ছে না? এমনিতেই তার জ্যান্ত ‘কাত্তিক ঠাকুরের’ উপর নজর দেওয়ার লোকের অভাব নেই। এবার তো বাইরের লোক ঘরের ভেতর এসে পড়েছে।
তাই নজর ছাড়ানোর জন্য মোক্ষম দাওয়াই দিল মিঠাই। কয়েকটি শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে বরের মাথার উপর, সারা শরীরে বুলিয়ে নজর ছাড়ালো সে। কাণ্ড দেখে সিডের মাথায় হাত। হল্লাপার্টি হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। এদিকে মিঠাইকে নজর ছাড়াতে দেখে নীপারও আবদার, সেও কৌশল শিখে রুদ্রদার উপর থেকে নজর ছাড়াবে!
সাম্প্রতিক এপিসোডে দেখা গিয়েছে, ভাইফোঁটায় সিদ্ধেশ্বর মোদকের দোকানের জন্য এক দারুন আইডিয়া দিয়েছে মিঠাই। যারা অর্থিক ভাবে অত স্বচ্ছ্বল নয় তারাও যাতে সিদ্ধেশ্বর মোদকের মিষ্টি কিনতে পারে সে জন্য মিষ্টির দাম কমানোর প্রস্তাব দেয় সে। সকলেই মত দিলেও বেঁকে বসে তোর্সা ও সোম। লাভ ছাড়তে রাজি নয় তারা।
অগত্যা সোমের দোকানগুলিতে বেশি দামে এবং অন্যান্য দোকানগুলিতে কম দামে মিষ্টি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই নিয়ে খদ্দেরের সঙ্গে ঝগড়া থেকে হাতাহাতি। পরিস্থিতি আরো খারাপ হয় তোর্সার দুর্ব্যবহারে। শেষমেষ মিঠাই গিয়েই থামায় ঝামেলা। তার ও সিদ্ধার্থের কথাতেই সোম রাজি হয় মিষ্টির দাম কমাতে।