বাংলাহান্ট ডেস্ক: এতদিন পর অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল ‘মিঠাই’ (mithai) প্রেমীরা। এতদিন পর সিদ্ধার্থ ও সমরেশের মধ্যে মিলনের একটা সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে যে। শ্বশুর মশাইয়ের বিরুদ্ধে করা যাবতীয় চক্রান্তের পর্দা ফাঁস করতে উঠেপড়ে লেগেছে মিঠাই। সোম যে সমরেশের নিজের সন্তান নয়, সবটাই যে আসলে মোদক পরিবারের বড়বাবুকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত চলছিল তা ফাঁস করে দিয়েছে মিঠাই। অনুতাপের ছোঁয়া সিডের মনেও।
ছোট থেকেই মোদক পরিবারে আশ্রিত হয়ে রয়েছে সোম। সিদ্ধার্থের প্রয়াত মা তাকে নিয়ে এসেছিলেন, স্বামীর আপত্তি সত্ত্বেও। পরে পরিবারের সকলেই তাকে আপন করে নিলেও সমরেশ বরাবর সোমের বিরুদ্ধে ছিলেন। এদিকে নিজের বাবার সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক সিদ্ধার্থের। সেটা আরো খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সোমের জন্মদাত্রী মা জয়িতা এসে জানান, সে আসলে সমরেশেরই ‘অবৈধ’ সন্তান।
কিন্তু প্রথম থেকেই জোর গলায় বিষয়টা অস্বীকার করে গিয়েছেন সমরেশ। কিন্তু নিজের বন্ধু ত্রিদিবেশকে দিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করালেও রিপোর্ট আসে জয়িতার পক্ষেই। আসলে জানা যায়, সোম হল ত্রিদিবেশ ও জয়িতার অবৈধ সন্তান। কিন্তু সমরেশকে ফাঁসানোর জন্য পরীক্ষার রিপোর্ট বদলে দেয় ত্রিদিবেশ। সে সময়ে পরিবারের প্রায় সকলেই জয়িতার দাবিকে বিশ্বাস করলেও ‘বড়বাবু’র পাশে ছিল মিঠাই।
এদিকে তোর্সার দৌলতে এই কেচ্ছার কথা জিনতে পেরে যায় মোদক গ্রুপের চির প্রতিদ্বন্দ্বী আগরওয়ালরা। প্রকাশ্যেই দাদাই সিদ্ধেশ্বর ও সমরেশকে অপমান করে তারা। এরপরেই বিষয়টা সত্যতা খুঁজতে উঠেপড়ে লাগে মিঠাই। এমনকি খটকা লাগাতে সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে গিয়েও হল্লা পার্টিকে নিয়ে লুকিয়ে প্যাথ ল্যাবে নৈশ অভিযান চালায় সে।
বেরিয়ে আসে ডিএনএ পরীক্ষার আসল রিপোর্ট, যেখানে সমরেশ ও সোমের ডিএনএর কোনো মিলই নেই। এত সব কাণ্ড দেখে হতবাক সিদ্ধার্থ। তার মুখেও অনুতাপের ছাপ স্পষ্ট। ‘বড়বাবু’কে ভুল বুঝে সেও তো কম হেয় করেনি। তাই মিঠাইয়ের কথা মেনে সিদ্ধার্থই সমরেশকে জানায়, তার দাবিই ঠিক ছিল। সত্যিই সোম সমরেশের নিজের ছেলে নয়।
শেষমেষ বাবা ছেলেকে কাছাকাছি আনতে পারল মিঠাই। আনন্দে উৎফুল্ল দর্শকরা। উপরি পাওনা, আগামী পর্বে দেখা যাবে মিঠাইয়ের কাছে ‘বাবা’ ডাক শোনার আর্জি জানিয়েছে সমরেশ। সব মিলিয়ে বেশ খুশি দর্শকরা। বৌমাই পারবে বাবা ছেলেকে মিলিয়ে দিতে, বিশ্বাস মিঠাই ভক্তদের।