বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুজোতে প্রেম জমে। আর যদি সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের (mithai) মতো নতুন নতুন বিয়ে হয় তাহলে তো কথাই নেই। অনেক হ্যাপা সামলানোর পর মিঠাইকে স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করেছে সিড। শুধু তাই নয়, নিজের প্রতিশ্রুতি রাখতে সব সমস্যা মুখ বুজে মেনে নিয়েছে দাদুর রাগী নাতি। পুজোর সময় ট্রেকিংয়ের প্ল্যান বাতিল করে ফিরে এসেছে শুধু মিঠাইয়ের জন্য। এমনকি অনিচ্ছাসত্ত্বেও ধুতি পাঞ্জাবি পরে কার্তিক ঠাকুর সেজেছে, তাও বৌয়ের জন্য!
দশমীর দিন মামাদাদু সব ছেলেদের নির্দেশ দিয়েছিল ধুতি পাঞ্জাবি পরতে হবে। কিন্তু দাদুর ‘লাটসাহেব নাতি’ সিডকে কে রাজি করাবে? আগে থেকেই সে জানিয়ে দিয়েছে এসব ধুতি পাঞ্জাবি পরতে পারবে না। ওদিকে কাকতালীয় ভাবে মিঠাইও বরের জন্য পুজো উপহারে ধুতি পাঞ্জাবিই কিনে আনে। শেষমেষ মিঠাইয়ের কথায় সেসব পরে কার্তিক ঠাকুরও সাজে সিড।
এদিকে বিজয়ার দিন মিষ্টির দোকানেও দারুন চাহিদা মিঠাইয়ের তৈরি মিষ্টির। একফাঁকে সেই দায়িত্বও সামলাতে ছোটে মিঠাই। আর বৌয়ের চিন্তায় চিন্তায় কার্তিক ঠাকুরের সাজেই দোকানের বাইরে হাজির সিড। পুজোর সময় ধুতি পাঞ্জাবি পরা এমন জ্যান্ত কার্তিক! মেয়েরা মুগ্ধ না হয়ে পারে? সঙ্গে সঙ্গে তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে মেয়েদের দল।
এদিকে দোকানের বাইরে এসে এমন দৃশ্য দেখে রেগে আগুন মিঠাই। পরিস্কার মেয়েদের জানিয়ে দেয় সে, এই কার্তিক ঠাকুর কিন্তু আগেই আইবুড়ো নাম ঘুচিয়েছে। মিঠাইকেই স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সে। তাই জ্যান্ত কার্তিক দেখে ঘুরঘুর করেও কোনো লাভ নেই। তখনকার মতো মেয়েদের দল থেকে ছাড়া পেলেও খোঁচা দিতে হাজির তোর্সা।
মিঠাইয়ের যদি এতই ভয় তাহলে বরকে ঘরে বন্দি করে রাখুক না! কিন্তু এবারে আর তোর্সার বাক্যবাণ মুখ বুজে সহ্য করেনি মিঠাইরানী। তার পালটা জবাব, বাইরের লোকেরাও তো ঘরের ভেতরে এসে কার্তিক ঠাকুরের উপর নজর দিতে পারে। আর এখন খুব বেশি নজর লাগছে। তার জন্য লঙ্কাপোড়া দেওয়ার দাওয়াই বের করেছে মিঠাই। এপিসোড দেখে দর্শকদের বক্তব্য, তোর্সাকে উচিত জবাব দিয়েছে মিঠাইরানী।