ফ‍্যামিলি শো এক নিমেষে ‘দুপুর ঠাকুরপো’ হয়ে গেল! সিড মিঠাইকে ফিনফিনে নাইটি পরাতেই ছিছিক্কার দর্শকদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সেরা হলেও ট্রোল, না হলেও ট্রোল‌। ‘মিঠাই’ (Mithai) এর অবস্থা এখন শাঁখের করাতের মতো। যাই করুক না কেন, নিন্দা এড়াতে পারছে না। গুলি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল মিঠাই। কোমার মুখ থেকে স্ত্রীকে ফিরিয়ে এনেছে সিড। বাড়িতে আনা ইস্তক মিঠাইকে আদরে, যত্নে ভরিয়ে রেখেছে সিদ্ধার্থ।

এতদিন ধরে ‘সিধাই’ মোমেন্ট দেখার জন‍্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন দর্শকরা। সিড মিঠাইয়ের দূরত্ব, মান অভিমান আর ভাল লাগছিল না ভক্তদের। তাদের মতে, একদিক থেকে মিঠাইয়ের গুলি লাগায় ভালোই হয়েছে। কারণ এতে দুজনে আরো কাছাকাছি এসেছে। মিঠাইয়ের প্রতি আরো যত্নশীল হয়ে উঠেছে তার উচ্ছেবাবু। কিন্তু এতেও আপত্তি কিছু মানুষের।

Sid mithai
ব‍্যাপারটা কী? আসলে সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গিয়েছে হাসপাতাল থেকে মিঠাইকে ফিরিয়ে এনেছে সিদ্ধার্থ। এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ নয় তুফান মেল। গুলি লাগা জায়গাটা ব‍্যান্ডেজ করা, একটা হাত নাড়ানো যাচ্ছে না। তাই মিঠাইয়ের সমস্ত যত্ন আত্তির দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছে সিড। এমনকি স্ত্রীর পোশাক বদলে ফিনফিনে নাইটিও পরিয়ে দিয়েছে!

অসুস্থ মিঠাইয়ের সুবিধার জন‍্যই একটি সরু ফিতের পাতলা রাতের পোশাক নিয়ে এসেছে সিড। মিঠাইয়ের শাড়ি ছাড়িয়ে নিজে হাতে রাতের পোশাক পরীয়ে দিয়েছে সে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ দর্শকদের একাংশ। এটা নাকি বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। মিঠাই এতদিন পারিবারিক শো ছিল। সিড মিঠাইয়ের এই অতিরিক্ত অন্তরঙ্গ দৃশ‍্য সেটাকে ‘দুপুর ঠাকু্রপো’ বানিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কয়েকজন। পরিবারের সঙ্গে বসে নাকি এসব দেখা যায় না!

অবশ‍্য প্রিয় মিঠাইয়ের বদনাম চুপচাপ সহ‍্য করেনি ভক্তরা। একজন যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছেন, মিঠাই এখন একজন রোগী। সেক্ষেত্রে এই পোশাকটা উপহার দেওয়া খুবই যুক্তিযুক্ত। উপরন্তু সিড মিঠাইয়ের ঘরের দরজাও বন্ধ‌। স্বামী স্ত্রীর এত সুন্দর মুহূর্তের একটি পর্ব অনেকদিন পর দেখানো হল। তবুও কেন এত নেতিবাচকতা ছড়াচ্ছে? অনেকের মতে, এরপর মিঠাইকে বাংলা সেরার স্থান থেকে আর কেউ সরাতে পারবে না।

ad

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর