বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে ধর্মের নামে চলতে থাকা হিংসার ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে সরব হচ্ছেন একের পর এক তারকা। এবার ঘটনার নিন্দা করে মুখ খুললেন ওপার বাংলারই দুই স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা (rafiath rashid mithila) এবং লেখিকা তসলিমা নাসরিন (taslima nasrin)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা করেছেন দুজনেই।
বাংলাদেশকে ‘জিহাদিস্তান’ আখ্যা দিয়ে তসলিমা লিখেছেন, ‘আফগানিস্তান, পাকিস্তান, জিহাদিস্তান । জিহাদিস্তানের অফিসিয়াল নাম এখনও অবশ্য বাংলাদেশ। এই তিন স্তান সমানে সমান পাল্লা দিয়ে চলছে। যুগ যুগ ধরে পরিকল্পিত ভাবে হিন্দু নির্যাতন চলছে জিহাদিস্তানে। গত তিন দিনে এই নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারের। কওমি- কাম-জিহাদি মাতা হাসিনার। তাঁর শাসনামলেই দেশে জিহাদি পয়দা হয়েছে সবচেয়ে বেশি, দেশে হিন্দুর নিরাপত্তা নষ্ট হয়েছে বেশি। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির শাসনামলেও সম্ভবত এত হিন্দু নির্যাতন হয়নি, যত হয়েছে আওয়ামি লীগের আমলে। মনে হয় জামাতে ইসলামি ক্ষমতায় থাকলেও এত হিন্দু নির্যাতন হতো না।’
এখানেই না থেমে তসলিমা আরো দাবি করেছেন, মুসলিম প্রচার বন্ধ করলেই জিহাদি কার্যকলাপ বন্ধ হবে। তাঁর কথায়, ‘মাদ্রাসা, মসজিদ, ওয়াজ মাহফিল, ইজতেমা, ইসলাম প্রচার বন্ধ করে দিন। পরের প্রজন্মে একটিও জিহাদি পাবেন না। মুসলিম বলতেও কাউকে পাবেন কি না সন্দেহ। পেলে মানুষ পাবেন। যদি সত্যিকার গণতন্ত্র বহাল থাকে, সমতার সমাজ থাকে, তাহলে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে পাবেন বিবেক এবং মনুষ্যত্ব, শুভবুদ্ধি এবং উদারতা।’
জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। ওপার বাংলারই অভিনেত্রী তিনি। এখন যদিও পরিচালক সৃজিত মুখার্জির ঘরণী হয়ে ভারতেই থেকে গিয়েছেন পাকাপাকি ভাবে। ওপার বাংলায় হিংসার ঘটনা দেখে বিষন্ন মিথিলাও। সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন তিনি।
অভিনেত্রীর আবেদন, ‘ধর্মের নামে রাহাজানি বন্ধ হোক। ঘৃণার ব্যবসা বন্ধ হোক। সবার উপর মানুষ, মানবতা সত্য হোক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুন্দর জীবনের জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পথিবী গড়া আমাদের দায়িত্ব’।
দূর্গাপুজোর নবমীর দিন ওপার বাংলার কুমিল্লাতে মণ্ডপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে দূর্গাপ্রতিমা। এখানেই শেষ নয়, দশমীর দিন নোয়াখালির ইস্কন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। কোরানের ‘অবমাননা’র দোহাই দিয়ে চলে ভাঙচুর। মন্দিরের এক সদস্যকেও খুন করা হয়। রবিবার রংপুরের পীরগঞ্জেও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দুদের দুটি গ্রাম। এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে নেটপাড়ায়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাঁচানোর দাবিতেও সরব হয়েছেন অনেকে।