বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের আগে বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দলে টানতে মরিয়া বিজেপি। নাট্যকর্মী, সিনেমা জগত, শিল্পী, খেলোয়াড়, কবি এবং অন্যান্য কাজের সাথে যুক্তদের দলে টানতে চাইছে বিজেপি। আর গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই নিয়ে অভিযানও শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআই এর বর্তমান সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা উঠেছে।
আর এরই মধ্যে বাংলার সিনেমা জগতের বিশিষ্ট অভিনেতা তথা তৃণমূলের নেতা রুদ্রনীল ঘোষ এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপির সমর্থনে কথা বলছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ওনার বিজেপিতে যোগ দেওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এমাসে শেষে অমিত শাহের বাংলা সফরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
আর এবার আরেকজনকে নিয়েও মৃদু জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি আর কেউ নন, বাংলা তথা হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী। জানিয়ে রাখি, মিঠুন চক্রবর্তী একসময় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। চিটফান্ড দুর্নীতিতে ওনার নাম উঠে আসলে তিনি নিজের সন্মান রক্ষার্থে সাংসদ পদ এবং তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেসব এখন কালের অন্তরালে হারিয়ে গিয়েছে। সুত্রের খবর অনুযায়ী, মহাগুরু এখন RSS এর হেডকোয়ার্টারের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
এর আগে নাগপুরে RSS এর হেডকোয়ার্টারে গিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতের সাথে দেখাও করেন। সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা হেগড়েওয়ারের স্মৃতি সৌধতে তিনি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেছিলেন। এসবের মধ্যে আবারও নতুন করে মহাগুরুর নাম সামনে আসছে নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনে মোদী সরকার দ্বারা গঠিত কমিটিতে ওনাকে জায়গা দেওয়ায়। ওই কমিটিতে অন্যান্য সদস্যদের সাথে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও মিঠুন চক্রবর্তী আছেন।
বঙ্গ বিজেপির এক বিশিষ্ট নেতা জানান, রাজ্যের বিদ্বজনেদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ানোর কথা ভাবছি না আমরা। আমাদের চাহিদা হল তাঁরা আমাদের দলে যোগ না দিয়ে তাঁদের অনুগামীদের উপর প্রভাব ফেলুক। এটাও অম কিছু না।
একদিকে তৃণমূল যেমন জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে দেব, মিমি, নুসরত, সোহমদের মতো তারকাদের দলে একটি ভালো জায়গা দিয়েছে। এখন বিজেপি চাইছে এরকমই কিছু করতে। আর সেটা এবারের নির্বাচনের আগেই করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেইমতে তাঁরা প্রস্তুতিও নিচ্ছে।