বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক ঢিলে দুই পাখি মারবেন বলে শহরে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বহুদিন পর বাংলা সিনেমায় কাজ করার পাশাপাশি একগুচ্ছ রাজনৈতিক দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। বুধবার বিজেপির (Bharatiya Janata Party) পার্টি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মহাগুরু। সেখানেই তাঁর বিরাট ঘোষনা। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ৩৮ জন বিধায়ক নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন!
এদিন দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সারেন মিঠুন। তারপর মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। পদ্ম শিবিরের মহাতারকা সদস্য বলেন, “আপনাদের জন্য একটা ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছি। তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক লুকিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে থেকে ২১ জন সরাসরি আমার সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন”।
মিঠুন একটা উদাহরণ টেনে বলেন, যখন মুম্বইয়ে ছিলেন তখন একদিন শুনেছিলেন যে বিজেপি আর শিবসেনার মিলিত সরকার গঠন হবে। মহারাষ্ট্রে হতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন? সেই সঙ্গে মহাগুরুর মন্তব্য, একটা সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগে তার মিউজিক রিলিজ হয়, তারপর ট্রেলার, সবশেষে সিনেমা। আজ তেমনি মিউজিক রিলিজ হয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর গলায় দাবি করেছেন, ২০২৪ এ কেন্দ্রে আর বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। পরিসংখ্যানের হিসেব তাঁর জানা নেই। তিনি মনের বিশ্বাস নিয়েই এতবড় দাবি করেছেন। এর উত্তরেই পালটা ‘ব্রেকিং নিউজ’ ছাড়লেন মিঠুন।
বিজেপির ‘মুসলিম বিরোধী’ তকমার বিরুদ্ধেও জোরালো সওয়াল করেছেন মিঠুন। তাঁর পালটা প্রশ্ন, বিজেপি যে দাঙ্গা বাঁধায় তার প্রমাণ কোথায়? দেশের ১৮ টি রাজ্যে বিজেপি সরকার। বলিউডের তিন খানের ছবি কিন্তু ওইসব রাজ্যেই সবথেকে বেশি চলে। বিজেপি মুসলিম বিরোধী হলে কি সেটা হত? প্রশ্ন মিঠুনের।
মিঠুনের ‘ব্রেকিং নিউজ’এ অবশ্য গুরুত্ব দিতে রাজি নয় রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, প্রচারে এসে এসব বলে থাকেন মিঠুন। এর আগে গোখরো-ফোখরো বলার ফল সকলেই দেখেছিলেন। ওসব ওঁর ফ্লপ ছবির ডায়লগ।