বাংলাহান্ট ডেস্ক: জোড়াবাগানের গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী থেকে বলিউডের মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) হয়ে উঠতে কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তা বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে। মুখ খুলেছেন সুপারস্টার নিজেই। নিজের কেরিয়ারের শুরুর দিককার সময়টা সবার সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। ফাঁস করেছেন ইন্ডাস্ট্রির আসল রূপ। একজন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতার সঙ্গেও কেমন ব্যবহার করা হত বলিউডে সেটা তাঁর অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায়।
অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বই গিয়েছিলেন মিঠুন। নিজের প্রথম অভিনীত ছবি ‘মৃগয়া’তেই জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এত বড় সম্মান পেয়েও ইন্ডাস্ট্রিতে মিঠুনের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরেও পদে পদে অপমানিত হয়েছেন মিঠুন। তাঁর পারিশ্রমিক ছিল তাঁর মেকআপ আর্টিস্টের থেকেও কম!
১৯৭৯ সালে বাসু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘প্রেম বিবাহ’ ছবির সময়কার কথা জানিয়েছিলেন মিঠুন। সে সময়ে জাতীয় পুরস্কার পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অথচ প্রেম বিবাহ ছবিটির জন্য মাত্র ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মিঠুন। এদিকে তাঁর মেকআপ আর্টিস্টের পারিশ্রমিক ছিল প্রায় সাড়ে সাত-আট হাজার টাকা।
মিঠুন জানান, সে সময়ে মাত্র ৭৫ টাকার একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন তিনি। সম্বল বলতে ছিল মাত্র দুটো শার্ট, একটা প্যান্ট। এক জোড়া জুতো জোগাড় করতেই কালঘাম ছুটে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল তাঁর। বছরের পর বছর ধরে জুতোর শুকতলা ঘষে ঘষে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন মিঠুন।
তাঁকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দেয় ‘ডিস্কো ডান্সার’। তারপর যে অভিনেতা, পরিচালকরা এক সময় তাঁকে দেখে হাসাহাসি করতেন তাঁরাই সমঝে চলতেন তাঁকে। অন্য নায়কদের ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা দুষ্কর করে দিয়েছিলেন মিঠুন। সমস্ত অপমানই তিনি মনে রেখেছেন, কিন্তু কারোর সঙ্গে কোনোদিন দুর্ব্যবহার করেননি তিনি।