বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে হয়না। ভোটে কারচুপি হয়, এমন অভিযোগ বহুবার করেছে বিরোধী পক্ষ। বুধবার হেস্টিংসে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) পার্টি অফিসে বসে আবারো একই অভিযোগ তুললেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন, যদি রাজ্যে স্বচ্ছ নির্বাচন হয় তাহলে কালই বিজেপি ক্ষমতায় চলে আসতে পারে।
বুধবার বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক সারার পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন মিঠুন। সেখানেই তিনি বলেন, যখন বম্বেতে ছিলেন তখন একদিন সকালে উঠে দেখেন বিজেপি আর শিবসেনা জোট বেঁধে সরকার গড়েছে। এখানে তেমনটা হবে না কেন? যদি স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন হয় তাহলে কালই এ রাজ্যে সরকার গড়বে বিজেপি।
শুধু তাই নয়। মিঠুন এদিন ‘ব্রেকিং নিউজ’ দিয়েছেন, ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ২১ জন সরাসরি তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগ করেছে। যদিও মিঠুনের বক্তব্যকে আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মাঝে মাঝে শহরে এসে প্রচার পাওয়ার জন্য এসব বলে থাকেন মিঠুন।
নির্বাচনী স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, আগে জ্বালানি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, জিএসটি এসব নিয়ে আলোচনা হোক। এক বছরের মধ্যে নির্বাচনের কথা পরে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ছোট বোন’ বলে সম্বোধন করা নিয়েও মিঠুনকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল।
দিদি ভাইয়ের সম্পর্ককে কলঙ্কিত করেছেন মিঠুন, দাবি কুণালের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সম্মানের বদলে বিশ্বাসঘাতকতা ফেরত দিয়েছেন অভিনেতা। পিঠে ছুরি মেরেছেন। অপপ্রচারও করেছেন। দিদি ভাইয়ের মতো কথাগুলো মিঠুনের মুখে শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র।
সেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে শহরে এসেছিলেন মিঠুন। রাজনীতির মঞ্চে ঝড় তুলে ফিরেছিলেন। কিন্তু তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান অভিনেতা। অনেকদিন পর শহরে এলেন মিঠুন। তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফল দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। যারা দল ত্যাগ করেছেন তাদের জন্যও কষ্ট পেয়েছেন। তবে তিনি এও বলেন, যদি কোন আরো কেউ যেতে চান তাহলে এখনি চলে যান।