বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের চিরকালীন সুপারস্টারদের মধ্যে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অন্যতম। উত্তর কলকাতা থেকে মুম্বই গিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রথমে নায়ক তারপর মহাগুরু হয়ে ওঠেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ারে বহু ছবি উপহার দিয়েছেন মিঠুন। শূন্য থেকে শুরু করে অর্থ, যশ, খ্যাতি সবকিছুই নিজের দমে অর্জন করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর বড় ছেলে হয়ে মহাক্ষয় চক্রবর্তী (Mahaakshay Chakraborty) মাথা হেঁট করে দিয়েছিলেন বাবার।
তিন ছেলে এবং এক মেয়ে মিঠুন ও যোগিতা বালির। বড় ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমো অনেক দিন আগেই পা রেখেছেন বলিউডে। ২০০৮ সালে ‘জিমি’ ছবির হাত ধরে অভিনয়ে পথচলা শুরু করেন তিনি। কিন্তু সে ছবিটির কথা কেউ মনেও রাখেনি, কারণ বক্স অফিসে কোনো অস্তিত্বই রাখেনি জিমি।
ছবিটির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে শুধু মহাক্ষয় নিজেই ভেঙে পড়েননি। মিঠুনেরও চোখে জল এসে গিয়েছিল ছেলের অবস্থা দেখে। তারপরেও আরো দুটি ছবিতে কাজ করেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সেগুলোর অবস্থাও হয়েছিল তেমনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওই সময়ে নিজের এবং পরিবারের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন মহাক্ষয়।
মিঠুন পুত্র বলেন, জিমি মুক্তি পাওয়ার পর চতুর্দিক দিয়ে লাগাতার সমালোচনায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এক কমেডি শো তে বলা হয়েছিল, জিমি ছবিতে মিমোর অভিনয় দেখে মনে হয় যোগিতার যোগ্যতা কমে গিয়েছে। মহাক্ষয় বলেন, ওই কথাটা তাঁকে ভেতর থেকে ভেঙে দিয়েছিল। মায়ের অপমান মেনে নিতে পারেননি তিনি।
শুধু তাই নয়, মহাক্ষয় জানান জিমি ছবির এক রিভিউতে লেখা হয়েছিল, নায়ক তো দূরের কথা তিনি জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ারও যোগ্য নয়। এই ধরণের মন্তব্যগুলি তাঁর পরিবারের মন ভেঙে দিয়েছিল সম্পূর্ণ ভাবে।
কিন্তু শুধু অভিনয়ের জন্যই বদনাম নন মহাক্ষয়। ছেলের আরো একটি কাণ্ড মিঠুনের মাথা পুরোপুরি হেঁট করে দিয়েছিল। ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এক অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল মিমোর বিরুদ্ধে। ওই অভিনেত্রী পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৫ সালে মিঠুন পুত্র নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাঁকে।
তারপর তাঁর পানীয়ে মাদক মিশিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এরপরেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে বারবার ধর্ষণ করে গিয়েছিলেন মিমো। তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অন্যদিকে ২০১৮ সালে মাদলসা শর্মার সঙ্গে বিয়ে সারেন মিমো আর ওই অভিনেত্রীকে বলেন গর্ভপাত করিয়ে নিতে। তিনি এও দাবি করেছিলেন, যোগিতাও ছেলের কুকীর্তি সবটা জানতেন। এরপরেই মিমোকে আটক করে মুম্বই পুলিশ। এই ঘটনা মিঠুনের সম্মানে বড় ধাক্কা ছিল।