বাংলাহান্ট ডেস্ক: নতুন সদস্য বাড়ছে বলিউডে। তাও আবার যে সে সদস্য নয়, রীতিমতো দাপুটে অভিনেতার ছেলে পা রাখছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। নমশি চক্রবর্তী (Namashi Chakraborty), সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) ছোট ছেলে, ‘ব্যাড বয়’ ছবির হাত ধরে ডেবিউ করতে চলেছেন বলিউডে। বড় দাদা মহাক্ষয় চক্রবর্তী ব্যর্থ হয়েছেন বাবার সম্মান রক্ষা করতে। সেই গুরু দায়িত্ব এবার এসে পড়েছে নমশির কাঁধে।
যদিও নমশির মতে, বাবা মিঠুনের সঙ্গে তাঁর কোনো তুলনাই চলে না। কারণ মিঠুন কার্যত শূন্য থেকে শুরু করে আজ কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন। শুধু প্রত্যাখ্যান নয়, কটু কথা, অপমান সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। সেখানে নমশি জন্মেছেন মুখে সোনার চামচ নিয়ে। বাবার নখের যোগ্যও নন তিনি, বক্তব্য নমশির।
নমশি বলেন, তিনি জন্মের পর থেকেই মিঠুনকে সুপারস্টার হিসাবেই দেখেছেন। তবে কেউ যদি এটা ভাবেন যে বাবার দৌলতে তিনি বলিউডে সুযোগ পাচ্ছেন তাহলে খুব বড় ভুল করবেন। সাক্ষাৎকারে রীতিমতো নিজের স্ট্রাগলের খতিয়ান তুলে ধরেন নমশি।
২০১৬-২০১৯ তিন বছর ধরে একের এর এক পরিচালক, প্রযোজকের দোরে দোরে ঘুরেছেন নমশি। প্রত্যেক জায়গাতেই শুধু না শুনেছেন। মিঠুনের মতো তাঁকেও শুনতে হয়েছে, তিনি নাকি নায়ক হওয়ার যোগ্যই নন। এতদিন নিজে অডিশন দেওয়ার পাশাপাশি চাকরি করেছেন, চিত্রনাট্য লিখেছেন, ছবির রিভিউ করেছেন। নমশি জানান, শেষের দিকে এক রকম হাল ছেড়ে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাঁর। শেষমেষ রাজকুমার সন্তোষী তাঁকে বেছে নেন এই ছবির জন্য।
চমকে দিয়ে নমশি জানান, এত যে অডিশন দিয়েছেন তিনি কোনোটাতেই বাবার পরিচয় তিনি দেননি। ঠিক করেই নিয়েছিলেন যে বাবার পরিচয় ব্যবহার করবেন না। স্টারকিড জানান, তাঁর বাবা মা-ও কোনোদিন তাঁদের লঞ্চ করতে চাননি। বরং বলেছেন যা করার নিজেদেরই করতে হবে।
ছেলের স্ট্রাগলের কথা জানেন মিঠুনও। নমশি জানান, তিনি বরাবর বলতেন, তাঁকে যে অপমান সহ্য করতে হয়েছে সেই তুলনায় নমশি অনেক ভাল অপমান পাচ্ছেন। ‘কালিয়া’, ‘বোকা’ এসব কথা শুনতে হয়েছে মিঠুনকে। অনেকে নাকি এমনো বলেছেন যে মিঠুন নায়ক হলে তারা বলিউড ছেড়ে দেবেন। নিজের কাজ দিয়ে তাঁদের মুখের উপরে জবাব দিয়েছেন মিঠুন।
নমশি বলেন, তিনি অডিশনে ব্যর্থ হলেও বাইরে এসে মার্সিডিজে বসতেন। তাঁর বাবার কল্পনারও বাইরে ছিল সেটা। আপাতত কলকাতায় রয়েছেন নমশি। ইঙ্গিত দিয়েছেন মিঠুনের রিয়েলিটি শোতে এসে নিজের ছবির প্রচার করবেন তিনি। কথায় কথায় ওঠে মিঠুনের সঙ্গে রাজনীতির প্রসঙ্গও।
নমশির কথায়, তাঁর বাবা খুবই সাদাসিধা মানুষ। একবার মোহন ভাগবত তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁকে লুচি তরকারি খাইয়ে আধ্যাত্মিক আলোচনা করেছিলেন মিঠুন। দেখেশুনে খুব অবাক হয়েছিলেন মোহন ভাগবত। নমশি বলেন, তাঁর বাবা এমনি। যে রাজনৈতিক দলেই তিনি যোগ দিন না কেন, বাংলার প্রতি তাঁর ভালবাসা একই রকম থাকবে।