শ্রীরামকৃষ্ণ হয়ে তীব্র নিন্দার শিকার, হবিষ্যি খেয়ে শুটিং করে জাতীয় পুরস্কার এনেছিলেন মিঠুন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সদ্য ৭৩ বছরে পা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ১৬ জুন ছিল তাঁর জন্মদিন। টলিউড বলিউড থেকে আসা শুভেচ্ছা বার্তায় এদিন ভেসে গিয়েছেন সুপারস্টার অভিনেতা। মিঠুনের উপস্থিতিতে রিয়েলিটি শোতে তাঁর জন্মদিন পালন থেকে শুরু করে তাঁর অভিনীত ছবিগুলির স্মৃতিও আবার ঝালিয়ে নিয়েছেন সকলে।

ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান সদস্য মিঠুন। তাঁর সমসাময়িক অভিনেতা অভিনেত্রীরা অনেকেই এখন অবসর নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর অভিধানে এই শব্দটার অস্তিত্বই নেই। কেরিয়ারের শুরুর দিন থেকে এখনও পর্যন্ত নাগাড়ে খেটে যাচ্ছেন তিনি। মুম্বই গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ জোগাড় করেছিলেন মিঠুন। তিনিই আবার নিজের অভিনয় শৈলীর প্রমাণ দিয়ে জিতে নিয়েছিলেন তিন তিনটি জাতীয় পুরস্কার।

ramkrishna mithun

কেরিয়ারের প্রথম ছবি ‘মৃগয়া’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মিঠুন। দ্বিতীয়টি পান ‘তাহাদের কথা’ ছবির জন্য। আর তিন নম্বরটি পান ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ ছবির জন্য। না, এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রের জন্য প্রস্তাব পাননি তিনি। বরং শ্রীরামকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।

শোনা যায়, স্বামী বিবেকানন্দ ছবিতে শ্রীরামকৃষ্ণের ভূমিকায় মিঠুন অভিনয় করবেন শুনে ব্যাপক নিন্দার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তখন। ‘ডিস্কো ডান্সার’ এর মতো ছবির নায়ক শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব রূপে নিজেকে যেভাবে মেলে ধরেন তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সকলেই। এই ছবির জন্যই সেরা সহ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেন মিঠুন।

শোনা যায়, এই ছবির শুটিংয়ের সময়ে নাকি শুধু হবিষ্যি খেয়ে ছিলেন মিঠুন। জানলে অবাক হবেন, ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পর্যন্ত পায়নি। ১৯৯৮ সালের দূরদর্শনে সম্প্রচারিত হয়েছিল ছবিটি। মুখ্য চরিত্রে স্বামী বিবেকানন্দ হিসেবে দেখা গিয়েছিল সর্বদমন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়াও ছিলেন হেমা মালিনী, জয়া প্রদা, তনুজার মতো অভিনেত্রীরা। মা সারদার ভূমিকায় ছিলেন দেবশ্রী রায়।

১৯৯৮ সালের পর আর টেলিভিশনে দেখা যায়নি স্বামী বিবেকানন্দ ছবিটি। তবে ইউটিউবে খুঁজলে এখনো ছবিটি দেখতে পাওয়া যায়। জি ভি আইয়ারের পরিচালনায় মোট ৪ ঘন্টার ছবি স্বামী বিবেকানন্দ ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর