বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সবরকম জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। মাস খানেক ধরেই ওনাকে নিয়ে নানান জল্পনা চলছিল। বিশেষ করে মুম্বাইয়ে ওনার বাড়িতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতের যাওয়ার পর সেই জল্পনা আরও বেড়ে যায়। যদিও সেবার মিঠুন চক্রবর্তী সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল মাত্র। উনি আমার ভালো বন্ধু।
এরপর বেশ কিছুদিন ধরে ওনাকে নিয়ে আবারও জল্পনা শুরু হয়। কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল যে মিঠুন চক্রবর্তী ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন আর বিজেপিতে যোগ দেবেন। এরপর গতকাল রাতে তিনি কলকাতায় আসেন। আর ওনার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দুজনের সাক্ষাতের পর মিঠুনের রাজনীতি যোগের চিত্র অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল।
আর আজ রবিবার ব্রিগেডে ওনার উপস্থিতি সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেয়। আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে তিনি বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন আর অফিসিয়ালি ভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বলেন, ‘আজকের দিন আমার কাছে স্বপ্নের মতো। আজ অনেক বড়বড় নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে আছি। আমি এটা কোনদিনও ভাবতে পেরেছিলাম না।” তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে বহিরাগত আর ভূমিপুত্রর জবাব দিয়ে বলেন, বাংলায় থাকা সবাই বাঙালি। আমি গরিবদের জন্য কাজ করতে চাই। গরিবদের জন্য কাজ করা আমার স্বপ্ন। আমি যা বলি সেটাই করি। আমি কোনও জলঢোরা নই, আমি হলাম জাত গোখরো।”
মিঠুন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি তৃণমূল করতাম ছেড়ে দিয়েছি। আমি কারোর উপর আঙুল তুলব না। আমি বলব না, এর ভুল ছিল ওঁর ভুল ছিল। আমি নিজের দিকে আঙুল তুলে বলব ভুলটা আমারই ছিল। আর বিজেপির কথা বললে আমি বলব, আমার স্বপ্ন রাজনীতির থেকেও বড়। ১৮ বছর বয়সী যখন ছিলাম তখন থেকেই গরিবদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। গরিবদের অধিকার পাইয়ে দেওয়া, সম্মান পাইয়ে দেওয়াই আমার স্বপ্ন। আর সেই লড়াই আমি আজ লড়ছি। আর এই কারণে আমার স্বপ্ন পূরণ করার সুযোগ আসলে আমি সেটা ছেড়ে দিই না।”
তিনি বলেন, আমি মজদুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম ২৫ বছর। এখনও কারোর যদি কোনও সমস্যা হয় আমি এগিয়ে যাই। কিন্তু আমি নিজের পাবলিসিটি করিনা। সবাই জানে দাদা কি করে। আজ আমি একটা সুযোগ পেয়েছি। আমার হিসেবে একটি দল আছে যারা এই সময় গরিবদের জন্য কিছু করছে। আমি যদি গরিবদের জন্য কিছু করতে চাই, তাহলে আমার তো কারোর হাত ধরতে হবে। এতে আপনি আমাকে স্বার্থপর বলতে পারেন। কিন্তু আমার এই স্বার্থপরতার পিছনে একটাই কারণ আছে, সেটা হল আমি গরিবদের জন্য কিছু করতে চাই।” মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, এবার রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়ছে এটা নিশ্চিত। আর আমি এতে খুব খুশিও হব।