বাংলাহান্ট ডেস্ক: যারা বিনোদন জগতের খোঁজখবর রাখেন বা যারা তেমন ওয়াকিবহাল নন, কিম কার্দাশিয়ানকে (Kim Kardashian) সম্ভবত অনেকেই চিনবেন। প্রখ্যাত ব্যবসায়ী তথা মডেল কিম ফ্যাশন দুনিয়ার একজন গণমাণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ চমকপ্রদ। তার থেকেও বেশি চমকপ্রদ কিমের আকর্ষণীয় ফিগার। নিখুঁত আওয়ারগ্লাস ফিগারের (Hourglass Figure) অধিকারিণী কিম। বহু মহিলা তাঁর মতো ফিগার পাওয়ার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করতেও দুবার ভাবেন না।
এমনি এক তরুণী হলেন জেনিফার প্যাম্পলোনা (Jennifer Pamplona)। বছর ২৯ এর জেনিফার পেশায় মডেল। কিমের মতো ফিগার পাওয়া ছিল তাঁর স্বপ্ন। ১২ বছর ধরে নিজের শরীরকে কাটাছেঁড়া করে স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কৃত্রিম পদ্ধতিতে কিমের মতোই আওয়ারগ্লাস ফিগার পেতে শুরু করেছিলেন জেনিফার।
প্রায় ৪০ টি কসমেটিক সার্জারি করতে ৪ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন তিনি। জেনিফারের বয়স যখন মাত্র ১৭ বছর তখন থেকে কসমেটিক সার্জারি শুরু করেন তিনি। কিমের মতো দেখতে হওয়ার দৌলতে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন জেনিফার। সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে বাড়তে থাকে ফলোয়ার।
কিন্তু জেনিফারকে যেন নেশায় পেয়েছিল। নিজের শরীর নিয়ে কিছুতেই সন্তুষ্ট হচ্ছিলেন না তিনি। কাটাছেঁড়া করে, ফ্যাট ঢুকিয়ে শেষমেষ সব ঘেঁটে ফেলেছিলেন তিনি। অনেক পরে তাঁর উপলব্ধি হয়, এত জনপ্রিয়তা, এত পরিচিতি সবটাই কিম কার্দাশিয়ানের মতো দেখতে হওয়ার জন্য। নিজে পরিশ্রম করে যে পরিচিতিটা পেয়েছিলেন, সেটা হারিয়ে যেতে বসেছিল জেনিফারের।
অবসাদগ্রস্ত জেনিফার তখন পথ খুঁজছিলেন আগের রূপে কীভাবে ফেরা যায়। তখনি ইস্তানবুলে এক চিকিৎসকের খোঁজ পান তিনি। আবার ৯৫ লাখ টাকা খরচ করে আগের রূপে ফিরে আসেন জেনিফার। তাতেও অনেক সমস্যা হয়েছিল। রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল জেনিফারের মুখ। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।