কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitaraman) ২ ঘন্টা ৪০ মিনিটের বৃহৎ বাজেট ভাষণে অর্থব্যবস্থার সব ক্ষেত্রকে এক করার সাথাসাথি যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাকে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি দেওয়া মানুষের সংখ্যা গত আঠ বছরের সর্বাধিক। বাজেট প্রস্তুতির পরে সী-ভোটার দ্বারা করানো ভোটের ফল অনুসারে , সাধারন বাজেট ২০২০-২১ কে ১০ এর মধ্যে ৭.১ অঙ্ক দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানের ২য় সর্বাধিক অঙ্ক প্রাপ্ত বাজেট। ২০২০-২১ এর এই বাজেট কে সর্বাধিক ভোট দিয়েছে বেতন ভুক্ত মানুষেরা।
বাজেটের পর ভোটের ফল অনুসারে, ২০২০র বাজেট যা ৭.০ অঙ্ক পেয়েছিল তাকে পিছিয়ে দিয়ে মোদী সরকারের ২.০ –এর বাজেটটি ৭.১ অঙ্কের প্রাপ্তি ঘটিয়েছে। তথ্য অনুসারে, ২০১৪ তে জয়ের পর থেকেই মোদী সরকারের পেশ করা বাজেটের স্বীকৃতির অঙ্ক ক্রমে বেড়েই চলেছে।
গননার ফল অনুসারে জানা গেছে যে, ২০১৪ সালে সম্মতির অঙ্ক ছিল কেবল ৪.৮ যা ২০১৫ তে ৬.৬ এ পৌছে ছিল। তারপর মধ্যবর্তি ২০১৬ সালে অঙ্ক কমে ৬.৩ হয়ে যায় এবং তারপর থেকে তা ক্রমে কমতেই থাকে। সূত্র থেকে জানা যায় যে ২০১৭ তে বাজেট সহমতি অঙ্ক ছিল ৫.২ এবং ২০১৮ তে তা কমে এসে ৪.৭ এ দাঁড়ায়।
মোদী ১.০ চলা কালীন বাজেটের সহমতির অঙ্ক হ্রাসের অন্যতম কারন ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুর দাম বৃদ্ধি। মূল্যবৃদ্ধির এক গভীর প্রভাব পরে সাধারন মানুষের ওপর। যদি অপর একটি কারনের কথা চিন্তা করা যায় , তবে সেক্ষেত্রে চাকরি হীনতাকে ধরা যেতে পারে। এই সমস্ত কারনের দরুন মোদী ১.০ এর সহমতি অঙ্ক ক্রমে হ্রাস পায়, তবে বলা চলে যে বর্তমান সময়ে প্রাপ্ত সর্বাধিক অঙ্ক তার ঘাটতি পূরণ করতেসক্ষম হয়েছে ।