বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজনীতি সাহিত্যে সবকিছুই কাল্পনিক ও বাস্তবিক এর মোড়কে বাধা। তবে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী সঙ্গে প্রমোদ মহাজন যে জুটি খানিকটা ছিল নরেন্দ্র মোদী অরুণ জেটলির জুটি ঠিক সেরকম।
ইতিহাসে একটি প্রশ্ন বরাবরই উঁকি মারে যে প্রমোদ মহাজন মৃত্যুই কি অরুণ জেটলির উত্থানের অন্যতম কারণ? প্রশ্ন যাই উঠুক অসাম্প্রদায়িক দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়নকামী ভাবমূর্তি রূপায়নের চেষ্টা জেটলির হাত ধরেই।
2009 সালে ধীরে ধীরে লাল কৃষ্ণ আদ্ভানি অন্তরালে চলে যায়। এরপর রাজ্যসভায় জেটলির বিরোধী দলনেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপিতে তিনি ক্রমশ জড়িয়ে যান একটা পরিসংখ্যান অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায় বাজপেয়ির মন্ত্রিসভার 50 জনের বেশি মন্ত্রী এখনো জীবিত। তার মধ্যে মোদির মন্ত্রীর দ্বিতীয় ক্যাবিনেটে জায়গা করেছেন মোট 6 জন। রাজনাথ সিং, রবি শংকর প্রসাদ, প্রহ্লাদ সিংহ প্যাটেল, সন্তোষ গঙ্গয়ার, শ্রীপদ নায়েক এবং ফাগান সিংহ কুলাস্তে। বেঙ্কাইয়া নাইডু তো উপরাষ্ট্রপতি হওয়াটাকে ঠিক মনে করেছেন। বাকিদের ঠিক পর্ষদের তালিকা থেকে সরিয়ে অন্যান্য পদে তুলে রাখা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে মোদি শাহ জুটি কি বিজেপির শেষ জুটি? নাকি এরপরে বিজেপি রিজার্ভ বেঞ্চ কে আরো শক্তিশালী ভূমিকায় দেখা যাবে? ভুলে গেলে চলবে না গুজরাট থেকে মোদী যদি অমিত শাহ কে তুলে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে না তবে এই যুগলবন্দী কিন্তু ভারত দেখতে পেত না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসন্ন তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এখানেই হবে লিটমাস টেস্ট। একদিকে সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলি প্রয়াণ, অন্যদিকে বিজেপির অন্দরমহলে কিছুটা হলেও শক্তিবৃদ্ধির খেলায় অন্তর্বর্তী চাপ।