চীনকে বড় ধাক্কা দিল ভারত-নেপাল, পুরনো সম্পর্ককে নতুন উষ্ণতা দিলেন মোদী-দেউবা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক যে চীনকে চাপে ফেলতে চলেছে, তা অনস্বীকার্য। বর্তমানে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার ভারত সফর যে দুই দেশের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের অবসান ঘটাবে, তা বলা যায়। শনিবার শের বাহাদুর দেউবার ও মোদির মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে তাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে ভবিষ্যতে নেপালের ওপর চীনের দখল আরও দুর্বল হতে চলেছে।

পূর্বে কমিউনিস্ট সরকারের আমলে ভারতের সাথে নেপালের খারাপ সম্পর্কের কারণ হিসেবে লিপুলেখ, কালাপানি ইত্যাদি জায়গায় নেপালের অদ্ভুত দাবি এবং মানচিত্র জারি করাকে দেখা হয়। তবে পরবর্তীতে এটা স্পষ্ট হয় যে, নেপালের কমিউনিস্ট সরকার পুরোপুরিভাবে চলতো চীনের ইশারায়। তবে বর্তমান সরকারের আমলে নেপালের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটেছে। শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে ভারত ও নেপালের মধ্যে খোলা সীমান্ত রয়েছে এবং এ বিষয়ে রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়।

তবে দেউবার সরকার অনেক কমিউনিস্ট গোষ্ঠীর সমর্থনের উপর দাঁড়িয়ে থাকলেও আশা করা হচ্ছে যে নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে আগামী দিনে ভারত ও নেপালের সম্পর্ক দৃঢ় হবে। বর্তমানে নেপালে ভারতের RuPay কার্ড চালু করা চীনের জন্যও একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্বে চীন নেপালে তাদের আলি পে অ্যাপ চালানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এই অ্যাপের মাধ্যমে কর ফাঁকি বাড়ার আশঙ্কা ছিলো এবং পরে ভারতের RuPay কার্ড চালু করা হওয়ার ফলে চীনের এই কৌশল মুখ থুবড়ে পরেছে।

Modi and sher bahadur deuba

পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালের ওপর চীনের প্রভাব কম হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও নেপালের মধ্যে পাঁচ বছর ধরে ঝুলে থাকা এমসিসি চুক্তি সম্প্রতি চীনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও নেপালের সংসদে অনুমোদন পেয়েছে। ফলে আশা করা হচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরে চলা রেল পরিষেবা শুরু এবং অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে ধীরে ধীরে ভারত ও নেপালের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে চলেছে এবং এরফলে চীনের কোণঠাসা হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর