বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে চলেছে ভারতে (india)। এই মুহুর্তে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে স্যানিটাইজার (sanitizer) বিক্রি করার ক্ষেত্রে বড়সড় নিয়ম পরিবর্তন এর কথা ঘোষণা করল মোদি সরকার (modi government)
মোদি সরকার জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ড্রাগস ও কসমেটিকস নিয়মের আওতায় থাকা স্যানিটাইজার বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়মে শিথিলতা আনা হল। এবার থেকে যে কেউ স্যানিটাইজার বিক্রি করতে পারবেন। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যানিটাইজার কোনো ভাবেই বিক্রি করা যাবে না।
মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির তরফ থেকে আসা বহু অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে সরকার স্যানিটাইজার বিক্রির ক্ষেত্রে কালোবাজারি রুখতে এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল।
এর আগে, মোদি সরকারের তরফে ঘোষনা করা হয়েছে, যেহেতু সাবানের মত স্যানিটাইজারও জীবানু নাশক তাই এই পন্যের ওপর ১৮ শতাংশ ট্যাক্স চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। এছাড়াও হ্যান্ড৷ স্যানিটাইজার তৈরি করবার রাসায়নিক সহ অন্যান্য উপাদানেও ১৮ শতাংশ কর লাগু করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, যে স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য অনুরূপ আইটেমগুলিতে জিএসটি হার হ্রাস করলে বিপরীত ফি কাঠামো তৈরি হবে। অর্থাত সমাপ্ত পণ্যের চেয়ে কাঁচামালের উপর বেশি চার্জ। এটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলির দেশীয় উত্পাদনকারীদের পাশাপাশি আমদানিকারকদের ক্ষতি করবে।
পাশাপাশি মোদি সরকারের তরফে আরো বলা হয়েছে, জিএসটি কমানো আত্মনির্ভর ভারত গড়বার নীতির বিরোধী। এই অতিরিক্ত শুক্ল যেমন কোম্পানিগুলিকে বহন করতে হব্র তেমনই দেশের সাধারণ মানুষও এই অতিরিক্ত খরচের বোঝা থেকে নিস্কৃতি পাচ্ছে না।
অ্যাডভান্স রুলিং অথরিটির গোয়া বেঞ্চ সম্প্রতি একটি ব্যবস্থা করেছে যে মদের উপর ভিত্তি করে স্যানিটাইজারদেরকে জিএসটির আওতায় 18 শতাংশ নেওয়া হবে। যদিও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারদের বাধ্যতামূলক আইটেম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে, তবে জিএসটি আইনের আওতায় ছাড়ের আইনের আলাদা তালিকা রয়েছে।