মোদী সরকার (modi goverment) এক নতুন প্রকল্প চালু করছে। আগামী ৩০ শে জুনের মধ্যে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ (Ration Card) প্রকল্প চালু করতে চায় নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান আজ, বৃহস্পতিবার এ কথা জানান। পাশাপাশি অক্টোবর-নভেম্বর থেকে ১৫টি রাজ্যের একটি করে জেলাতে রেশনের মাধ্যমে বিশেষ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ চাল দেওয়ার ব্যবস্থা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পাসোয়ান বলেন,’দেশ জুড়ে আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তিকরণ হবে। সমস্ত রেশন দোকানে ‘পয়েন্ট অব সেল’ (পিওএস) যন্ত্রের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিক্রি শুরুর কাজটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ চালু হলে কোনও উপভোক্তা দেশের যে কোনও প্রান্তের রেশন দোকান থেকে সরকার-নির্ধারিত ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে খাদ্যশস্য কিনতে পারবেন। কারণ, তখন দেশের সমস্ত রেশন কার্ডের তথ্য একটিই সার্ভারে জমা থাকবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বিষয়টি চালু করতেই হবে। সেই কাজে গতি আনতে সমস্ত রাজ্যকে আমরা চিঠি লিখেছি।’
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ১০টি রাজ্যে এখন যে-কোনও জেলার দোকান থেকেই রেশন তুলতে পারেন। ১৫ অগস্টের মধ্যে সেই কাজ আরও এগোনোর। তখন মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের মানুষ দুই রাজ্য থেকেই রেশন পাবেন— যেমন পাবেন অন্ধ্র ও তেলঙ্গানার বাসিন্দারা। মন্ত্রী জানান, এই বন্দোবস্ত চালুর ফলে এক দিকে ভুয়ো রেশন কার্ড রোখা যাবে। অন্য দিকে, ভিন্-রাজ্যে গিয়ে বসবাস করলেও রেশন থেকে বঞ্চিত হবেন না কোনও উপভোক্তা।
অভিন্ন রেশন কার্ড চালুর মতোই রেশনে বিশেষ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ (ফর্টিফায়েড) চাল বণ্টনের বিষয়টিকে প্রথম একশো দিনের কর্মসূচিতে রেখেছিল মোদী সরকার। উৎপাদিত চালে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন ইত্যাদি মিশিয়ে তা নির্দিষ্ট এলাকায় সরবরাহ করা হবে। ভিটামিন-আয়রন ইত্যাদির মাত্রা বেঁধে দেবেন জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। পাসোয়ান জানান, এখনও পর্যন্ত ৯টি রাজ্য নিজেদের একটি করে জেলা বেছে নিয়ে এই প্রকল্পে এগিয়ে এসেছে।