বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মোদি সরকারের (modi government) তরফে ঘোষনা করা হয়েছিল, ১০৯টি বেসরকারি রুটে রেল (indian railway) পরিষেবায় বেসরকারি বিনিয়োগ হবে। যা নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। বিরোধীদের বাক্যবাণের মুখে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার রেলস্টেশনেও বেসরকারি বিনিয়োগের কথা জানালেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল MCCI এর আয়োজিত ওয়েবিনারের ভাষণে বলেন, “রেল স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা রয়েছে । আধুনিকীকরণ হয়ে গেলে তারপর বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়ার জন্য ধাপে ধাপে সেই স্টেশনগুলিকে নিলাম করা হবে। পাশাপাশি ফ্রেট করিডর প্রকল্পের কাজের গতিও এবার বাড়ানো হবে।” যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
কিছুদিন আগেই, রেলমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ভারতীয় রেল এর কোনো বেসরকারিকরন হচ্ছে না। ১০৯ টি রুটে অত্যাধুনিক ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। সেই ট্রেনগুলির জন্য বেসরকারি সংস্থাকে আহ্বান করা হয়েছে। এই পরিষেবা ভারতীয় রেলের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে না। বরং কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
रेलवे का किसी भी प्रकार से निजीकरण नही किया जा रहा है, वर्तमान में चल रही रेलवे की सभी सेवायें वैसे ही चलेंगी।
निजी भागीदारी से 109 रूट पर 151 अतिरिक्त आधुनिक ट्रेनें चलाई जायेंगी। जिनका कोई प्रभाव रेलवे की ट्रेनों पर नही पड़ेगा, बल्कि ट्रेनों के आने से रोजगार का सृजन होगा। pic.twitter.com/hcLpTNPGRv
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) July 8, 2020
পাশাপাশি রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেসরকারি ট্রেনে আগের থেকে অনেক বেশী যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি থাকছে আগের থেকে অনেক বেশী সুবিধা। অবশ্য তার যাত্রীদের খরচ আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে যাবে।
রেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে অনুসারে, বেসরকারী ট্রেনগুলিতে যাত্রীদের বিমান সংস্থার মতো পছন্দসই আসনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিতে হতে পারে। কেবল পছন্দসই আসনই নয়, যাত্রীদের অন-বোর্ড পরিষেবাতেও লাগবে বেশি টাকা।এর মধ্যে ওয়াই-ফাই, অন-বোর্ড বিনোদন এবং কিছু অন্যান্য বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এর জন্য অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করবে বেসরকারি সংস্থাগুলিই।
পাশাপাশি রেল বেসরকারী সংস্থাগুলিকে ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণের জন্য স্বাধীনতা দিয়েছে। রয়েছে নতুন রেলপথ তৈরির সুযোগও। তবে সংস্থাগুলির উপার্জিত মোট আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ রেলকে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যে রেল প্রথম বেসরকারী ট্রেন চালানোর লক্ষ্য নিয়েছে। যার জন্য ২১ শে জুলাই প্রথম প্রাক-বিড সভা আহ্বান করেছে রেল। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
নির্ধারিত শর্ত ছাড়াও সংস্থাগুলিকে নির্ধারিত ফিও দিতে হবে রেলকে। পাশাপাশি খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য একটি জরিমানাও দিতে হবে। বেসরকারী সংস্থাগুলির ট্রেন এবং লোকোমোটিভ কেনার ক্ষেত্রে স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে।