বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম জমানায় এক উল্লেখযোগ্য এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলেও নোটবন্দি৷ বেআইনি ভাবে গচ্ছিত টাকার উপরে নজর রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ একদিকে যেমন রাতারাতি নোট বদলের কথা ঘোষণা করা হয় ঠিক তেমনই নতুন নতুন নোট বাজারে আসতে শুরু করে৷ ঠিক তিন বছর আগে নভেম্বর মাসে নোটবন্দি ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বার মোদী সরকারের দ্বিতীয় জমানায় ঠিক তিন বছর পরে আরও এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদী সরকার৷ এবার গচ্ছিত সোনার উপরে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
জানা গিয়েছে এবার থেকে সোনা জমানোর সীমা বেঁধে দেওয়া হবে যদিও জল্পনাটা অনেক দিন আগেই ছড়িয়েছিল তবে এবার পাকাপাকি ভাবে জানানো হয়েছে হিসাব বহির্ভূত সোনার উপরে জরিমানা আদায় করা হবে কেন্দ্রের তরফে৷ ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও অর্থ মন্ত্রকের তরফে পরিকল্পনা রূপায়নের যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা শেষ পর্যায়৷ যদিও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সোনা জমানোর ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দেওয়ায় যথেষ্ট বিতর্ক ছড়িয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকার স্কিমের মাধ্যমে সোনা সঞ্চয়ের পরিমাণ বেঁধে দেবে আর সেই স্কিম টির নাম হল অ্যামনেস্টি স্কিম৷
অর্থাত্ নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনার থেকে যদি কারও কাছে পরিমাণ বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে সোনা ক্রয়ের রসিদ দিতে হবে আর তা না দিতে পারলেই নেওয়া হবে জরিমানা৷ সূত্রের খবর হিসাব বহির্ভূত সোনার ওপর দিতে হতে পারে 30 শতাংশ কর, শেষ মিলিয়ে দিতে হবে 33 শতাংশ কর৷ এত দিন অবধি আয়করের ক্ষেত্রে যদি হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া যেত সে ক্ষেত্রে জরিমানা নেওয়া হত এবার সেই নিয়ম লাগু হতে চলেছে সোনার ক্ষেত্রে৷
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে ভারতীয়দের কাছে 20 হাজার টন সোনা গচ্ছিত রয়েছে৷ যার মধ্যে বেশির ভাগটাই রয়েছে লকারে, এর ফলে বিদেশি মুদ্রার অপচয় হচ্ছে তাই সোনা যাতে লকার না পড়ে থেকে বাজারের কাজে আসে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাই তো হিসেব বহির্ভূত সোনার উপরে নজরদারি চালাবে কেন্দ্র৷