বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে দশ বছরের বেশি সময় কেটে গিয়েছে,২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সে সময় দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে বেশ জোরের সাথেই বিদেশের ব্যাংকে থাকা কালো টাকা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নমো।
তবে এত বছর কেটে যাওয়ার পরেও কারও অ্যাকাউন্টে সেই টাকা না ঢোকায় ভোটের মুখে আবার মাথাচাড়া দিয়েছে সেই প্রশ্ন। তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির (ED) বাজেয়াপ্ত করা টাকা আমজনতার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে তাঁর সরকার।
এক দশকের বেশি সময় আগে দেওয়া সেই পুরনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করার জন্য এই মুহূর্তে আলোচনার চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে এ প্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন,’আমি এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি। কেননা আমি হৃদয় থেকে চাই গরিবের যে টাকা এরা লুঠ করেছে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, সেটা তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে।’
সেইসাথে তিনি আরও জানিয়েছেন ‘যদি কোনও আইনি সম্ভাবনা থাকে আমি করবই। এই মুহূর্তে আমি আইন বিশেষজ্ঞদের দলের সঙ্গে কথা বলছি। বিচারব্যবস্থার কাছে প্রশ্ন রেখেছি, ওই টাকাগুলোর কী হতে পারে, সে ব্যাপারে পরামর্শ দিতে।’
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টে বিরাট রদবদল! এক লহমায় বদলে গেল ১২ পড়ুয়ার জীবন!
প্রসঙ্গত এদিন পিএম মোদী এই বিষয়েই দেশের নতুন ন্যায় সংহিতার একটি বিশেষ সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে জানিয়েছেন আর্থিক দুর্নীতি মামলাগুলোতে সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে জমা পড়েছে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা! সেইসাথে আলাদা করে বাংলা, কেরল ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের চাকরির বিনিময়ে জমি সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির কথাও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়াও এদিন তিনি দাবি করেছেন কংগ্রেস আমলে ইডি’র নিষ্ক্রিয় থাকার বিষয়টিও। এদিন তিনি দাবি করেছেন ২০১৪ সালে মোদি সরকার দেশের মসনদে বসার পরেই নাকি সক্রিয় হয় ওঠে ইডি। প্রসঙ্গত, ইডি-র ক্ষমতায় বৃহস্পতিবার রাশ টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট।