বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাবে লোকসভায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ভাষণ দেন। সেই সময় তিনি কংগ্রেসের (Congress) উপর তীব্র আক্রমণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের ভাষণে নাগরিকতা আইন, ৩৭০ ধারা, রাম মন্দির সমেত অনেক ইস্যুতেই কথা বলেন। আরেকদিকে কংগ্রেস সমেত সমস্ত বিরোধী দল গুলো প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় সংসদে হাঙ্গামা করে। কিন্তু তা স্বত্বেও প্রধানমন্ত্রী না থেমে নিজের ভাষণ জারি রাখেন। উনি রাহুল গাঁধির (Rahul Gandhi) দেওয়া ভাষণ নিয়ে ব্যাঙ্গও করেন।
Prime Minister Narendra Modi after Rahul Gandhi makes an intervention in his speech in Lok Sabha: I was speaking for the last 30-40 minutes but it took this long for the current to reach there. Many tubelights are like this. https://t.co/ciMYJwYxwl pic.twitter.com/9E3qmd7ZvS
— ANI (@ANI) February 6, 2020
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, কংগ্রেসের সমস্য হল, তাঁরা কথা বলে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় আর দশকের পর দশক তাঁদের প্রতিশ্রুতি গুলো পালন করেনা। আজ আমাদের সরকার রাষ্ট্র নির্মাণের সিদ্ধান্তে চলছে, আর এটা নিয়েও ওদের সমস্যা। উনি বলেন, আমি আরও একবার এই সদনের মাধ্যমে আমাদের দায়িত্ব স্পষ্ট করতে চাই। আমি পরিস্কার জানাচ্ছি যে, সিএএ এর কারণে ভারতের কোন নাগরিক প্রভাবিত হবেনা। সেটা মুসলিম হোক, হিন্দু হোক, শিখ অথবা অন্য কোন সম্প্রদায় হোক।
উনি বলেন, ১৯৫০ সালে নেহরু লিয়াকত চুক্তি হয়েছিল, ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানে থাকা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া হবে। এই চুক্তিতে ধার্মিক সংখ্যালঘুদের কথা উল্লেখ আছে। নেহরু জি এত বড় নেতা ছিলেন, তাহলে তিনি সেই সময় সংখ্যালঘুদের জায়গায় সেখানকার সমস্ত নাগরিকদের কথা উল্লেখ করেন নি কে? যেই কথা আমরা আজ বলছি, সেই কথা তখন নেহরু জিও বলতেন।
PM Narendra Modi in Lok Sabha: Someone had to become Prime Minister so a line was drawn in India and the country was divided pic.twitter.com/mJbLOOlgwv
— ANI (@ANI) February 6, 2020
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, দেশ দেখেছে দলের জন্য কারা আছে আর দেশের জন্য কারা। যখন কথা উঠেছে তখন মূল পর্যন্ত যাওয়া উচিৎ। কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছিলেন, এরজন্য হিন্দুস্তানে সীমানা করে দেশ ভাগ করে দিয়েছিলেন।