“মোদি ম্যাজিক” উত্তর পূর্ব রেলওয়ে বাড়ছে ইলেকট্রিক গতি, শুভ আরম্ভ খুব শীঘ্রই, বন্ধ ডিজেল!

 

অমিত সরকারঃরেলগাড়ি ঝমাঝম পা পিছলে আলুর দম। সবে এই ধরনের কবিতাগুলো পাঠ করতে করতে আধুনিক ইতিহাসের স্মৃতির পাতা থেকে বেরিয়ে আসে ইন্দ্রপুরীর একাধিক যাত্রা। কিন্তু তা যদি হয়, বনজংগলের মধ্য দিয়ে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে তবে তা হবে আরও মনোরম।এমনই মনোরম দৃশ্য শিলিগুড়ির পর থেকে শুরু হয় ডুয়ার্সের বুক চিরে আসাম গোহাটি ব্রহ্মপুত্র এর পাশ দিয়ে। চলতি বছরেই কলকাতা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে টানা ট্রেন চালানো হবে। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে রেল সূত্রে। অনেকদিন ধরে কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীবা রাও গত বৃহস্পতিবারই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ও আশেপাশের কয়েকটি স্টেশন পরিদর্শনে আসেন এবং তিনি সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন উত্তর পূর্ব রেলওয়ে মাধ্যমে ভারতীয় রেলওয়ে কতখানি গুরুত্ব তাও কি নিয়ে তিনি অনুধাবন করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই কাজ শেষ হয়েছে রেল লাইনের বিদ্যুতিকরণের কাজ। এখন শুধু অপেক্ষা চিফ সেফটি অফিসারের ছাড়পত্র।

Modi k3OH 621x414@LiveMint
শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে রামপুরহাট হয়ে মালদহ পর্যন্ত বৈদ্যুতিকরণের কাজ আগেই শে‌ষ হয়েছিল। ওই লাইনে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন আগেই চলাচল করছে। বাকি ছিল বাকি পথে। এবার মালদহ থেকে কাটিহার হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত লাইনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ হয়েছে।” এই গত এক বছর ধরে দ্রুতগতিতে রেলের প্রতি ধরনের কাজ আরো গতি পেয়েছে। মোদি সরকার আসার পর এই গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নভেম্বরেই ওই লাইন পরিদর্শনে আসবেন রেলওয়ে চিফ সেফটি আধিকারিক। তিনি ছাড়পত্র দিলেই এই রুটে ডিজেল ইঞ্জিন চলা প্রায় ইতিহাস হয়ে যাবে। কলকাতা থেকে একটানা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনেই ছুটবে ট্রেন।। গত সাধারণ বাজেটেও রেলমন্ত্রক রেলের বৈদ্যুতিকরণের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পুরো লাইন বৈদ্যুতিকরণ হয়ে গেলে সময় বাঁচবে ট্রেনযাত্রার। আর বর্তমানে ট্রেনের বেসরকারিকরণ নিয়ে একদিকে যখন প্রচন্ড সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে অন্যদিকে রমরমিয়ে চলছে ট্রেনের সংস্কারের এর কাজ।

পাশাপাশি পরিবেশের উপরে বিশাল প্রভাব পড়বে। পরিবেশ সচেতনতায় ডিজেল ইঞ্জিন বন্ধ হওয়া এক বিশাল পদক্ষেপ। ডিজেলের ব্যবাহার কমলে দূষণ কমবে। অন্যদিকে ট্রেনের গতি আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। এই রুটে কমপক্ষে ৫০ জোড়া ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে। এমন কে উল্লেখযোগ্য সমস্ত ট্রেন আসাম গোহাটি সাথে পুরো ভারতের যোগাযোগ রক্ষা করে। অন্যদিকে ভারত চীন সীমান্ত এ অঞ্চলের সাথে দিল্লির একটা সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সামরিক দিক এর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। রেলের দাবি ২০২০ সালের মধ্যেই অসমের গৌহাটি পর্যন্ত বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ হবে।


সম্পর্কিত খবর