বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতে যখন মোদি সরকার সাম্প্রদায়িক তকমায় ভূষিত তখন বিদেশের মাটিতে তাদের পারফরম্যান্স এতটাই জনপ্রিয় যে ইরাক ইরান সৌদি আরব আরব আমিরশাহী প্রত্যেকেই মোদির সাথে অংক কষে মেলামেশা করছেন।
এনআরসি নিয়ে যখন তুলকালাম, রাজ্য রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ অন্যদিকে কাশ্মীরের 370 ধারা বাতিল কে ঘিরে উত্তপ্ত বিরোধী শিবির, মুসলিম সংগঠনগুলিও কোমর বেঁধে নেমেছে মোদির সমালোচনায়। তার প্রত্যেকটি পদক্ষেপেই যেন একটি সাম্প্রদায়িক বার্তা থাকে তাদের মতে এমনই ধারণা।
কিন্তু ভারতীয় রাজনীতির সম্পাদ্য যতই কঠিন হোক না কেন বৈদেশিক উপপাদ্যের ক্ষেত্রে মোদির নিজে সুচারু কৌশলগত ভাবে বড় বড় রাষ্ট্র নেতাদের পর্যদুস্ত করে দেবে এটা বলাই বাহুল্য।
ভারত ইরান সম্পর্কে বারবার তিনি নিজের উপস্থিতির কথা জানান দিয়েছেন এমনকি আমিরশাহীতে মোদির হাতে তুলে দেওয়া হয় আমিরশাহীর সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ জায়েদ’।সূদূর রাশিয়া নরেন্দ্র মোদিকে তাঁদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিয়েছে ।
শুধুমাত্র পাকিস্তান বাদ দিলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের মূল্য কতখানি সেটা আফগানিস্থান থেকে আরম্ভ করে মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত দেশগুলোই জেনে গিয়েছে। রাষ্ট্রের শক্তির হাতে যে কি ক্ষমতা থাকতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।
অন্যদিকে পাকিস্তানকে একেবারে পাত্তা না দিয়ে ভারত ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয় তাতে তিনি প্রচুর বাণিজ্যিক সুবিধা পাওয়ার কথা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো চাবাহার বন্দর ব্যবহারে ভারতের সঙ্গে ইরানের চুক্তির। অবশ্যই চীন ও পাকিস্তানকে পক্ষে অস্বস্তিকর।