বাংলা হান্ট ডেস্ক ঃনির্বাচন কমিশনের বিধি নিয়ম মেনে আজ রাত ১০ টা পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলকে তাদের নির্বাচনী সভা শেষ করতে হবে। তার আগেই প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী। সপ্তম দফার লোকসভা ভোটে বিনা যুদ্ধে কেউ কারোর গদি ছাড়তে নারাজ। দিদির লক্ষ্য দিল্লি । আর বিজেপির লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। শেষ হাসি কে হাসবে তা দেখা যাবে ২৩ শে মে । তার আগে আজ বৃহস্পতিবার মন্দির বাজার সভা থেকে নাম না-করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনও রীতিমতো হুঁশিয়ারি করে বলন, ‘২৩ মে-র পরেই তালা লেগে যাবে ভাইপোর অফিসে।’প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার এ দিন বারো আনাই জুড়ে ছিল ‘বুয়া-ভাতিজা’ অর্থাৎ পিসি-ভাইপোর উদ্দেশে আক্রমণ। তিনি বলেন, “পিসি-ভাইপোর প্রশাসনিক মডেল বাংলায় ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছে। সেই ভয় থেকে মুক্ত কেবল তারাই, যারা তোলাবাজি করে, মেয়ে পাচার করে, গরু পাচার করে। ওই ভয় থেকে মুক্ত কয়লা মাফিয়া, বালি মাফিয়া।এর পরই ভাইপোর বিরুদ্ধে সরাসরি জমি দখলের অভিযোগ আনেন প্রধানমন্ত্রী।
বলেন, “শুনেছি ভাইপো নাকি রাস্তা দখল করে নিজের অফিস বানিয়েছে। আর দিদি তোলার টাকা থেকে এতো কামিয়েও আশ মিটছে না। রাস্তা দখল করছে ভাইপো! কিছু তো লজ্জা থাকা উচিত!”প্রধানমন্ত্রীর এই উত্তপ্ত বক্তৃতার সঙ্গে এ দিন সঙ্গত করছিল সভাস্থলের ভিড়ও। তাতে আরও উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পিসি-ভাইপোর গ্যাং বাংলাকে বদনাম করে দিয়েছে। এখন ভয় পেয়ে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু তোমার ভাইপোর এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি, তোমার তোলাবাজির জায়গা অত্যাচারের মাটিতে দাঁড়িয়ে আজ বক্তৃতা দিচ্ছি ওই ধমকিতে মোদী ভয় পায় না। এ বার ভোটে ভাইপোর ডাব্বা গুল ।”
ইতিমধ্যেই ভাইপোর বিরুদ্ধে মোদীর সমালোচনার জবাব এক প্রস্ত তিনি দিয়েছেন। অভিষেককে দলের আর পাঁচ জন রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে তুলনা টেনে মমতা বলেছেন, “তাঁকে দেখেই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল যুব তৃণমূল সভাপতির।”