নরেন্দ্র মোদীজি আমাদের নতুন জীবন দিয়েছেন ধারা ৩৭০ বিলুপ্ত করে, আমরা উনার সাথে আছি

জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। উধমপুর ও সাম্বার পরে শুক্রবার জম্মুতে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে জম্মুতে সমস্ত স্কুল-কলেজ চালু হবে।একই সাথে কাশ্মীরে ধীরে ধীরে জিনিসগুলি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক আজ কাশ্মীরের কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন এবং বলেছিলেন যে রাজ্যে পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে। তিনি বলেন প্রদেশে পুরোপুরি শান্তিতে প্রতিষ্ঠা করা হবে।বিজেপি নেতা রাম মাধব একটি কাশ্মীরি মেয়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

ভিডিওতে, মেয়েটি মোদী সরকারের দ্বারা ধারা 370 সরিয়ে দেওয়ার সমর্থন করছে। মেয়েটি বলেছে যে মোদী সরকার কাশ্মীর থেকে 370 সরিয়ে কাশ্মীরের জন্য আরও ভাল কাজ করেছে। আমি বলছি যে পুরো বিশ্ব এবং সমগ্র কাশ্মীরের মোদী সরকারকে সমর্থন করা উচিত। 370 এর কারণে কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছিল। পাঠকদের জন্য নীচে কাশ্মীরি মেয়েটির ভিডিও যুক্ত করা হলো।যুবক যুবতীদের জীবন ধারা 370 এর কারণেই নষ্ট হচ্ছিল। কাশ্মীরি মেয়েটি বলেন, সরকার সেই সমস্ত নেতাদের গ্রেফতার করেছে যারা কট্টরপন্থীদের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। পাঠকদের জন্য নীচে কাশ্মীরি মেয়েটির ভিডিও যুক্ত করা হলো। ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েছে এবং লোকজন শেয়ার করছে।

IMG 20190810 114736 IMG 20190810 114114 1

 

সরকার সাধারণ মানুষের উপর কোনো অত্যাচার করেনি। যদিও পাকিস্তান ভারতের পদক্ষেপে আক্রোশিত রয়েছে কারণ পাকিস্তানের রাজনীতি কাশ্মীরের ইস্যুকে কেন্দ্র করেই চলে। শুধু এই নয়, কিছুদিন আগে পাকিস্তান আমেরিকার সাথে আফগানিস্তান ইস্যুতে চুক্তি করেছিল। সেই কারণে পাকিস্তান আমেরিকার থেকে যে ফান্ড পেত তা দিয়ে আরো একবার কাশ্মীর ঘাঁটিতে আতঙ্ক চরম সীমায় পৌঁছে দেওয়ার উদেশ্য ছিল।

কিন্তু ভারত সেই চাল বুঝে নিয়ে আগেই ধারা 370/ 35A তুলে দেয়। ফলস্বরূপ পাকিস্তানের পুরো পরিকল্পনার উপর জল ঢালা যায়। এখন জম্মু-কাশ্মীর একটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল  ও লাদাখ একটা আলাদা কেন্দ্র শাসিত প্রদেশ।যেখানে পুরোপুরিভাবে কেন্দ্র সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। 370 অপসারণের বিরোধ দেখিয়ে পাকিস্তান বুধবার পাকিস্তান ভারতের হাই কমিশনার অজয় ​​বিসরিয়াকে তার দেশ থেকে অপসারণ করেছে। একই সঙ্গে, পাকিস্তান ভারতের সাথে সব ধরণের বাণিজ্য বিনিময় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তান নিজের পায়ে নিজেই কুলুড় মারার কাজ করেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সম্পর্কিত খবর