নিজের নামের সাথে এই লজ্জাজনক রেকর্ড জুড়লেন সিরাজ, IPL-এ প্রথমবার হলো এমন ঘটনা

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মেগা আইপিএল নিলামের আগে জাতীয় দলের হয়ে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে পেসার মহম্মদ সিরাজকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৭ কোটি টাকায় ধরে রেখেছিল। ভক্তদের আইপিএল ২০২২-এ তারকা পেসারকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা রেখেছিল। কিন্তু ভক্তদের সেই প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সিরাজ। তার পারফরম্যান্স এতটাই খারাপ ছিল যে রিটেন করা সত্ত্বেও তাকে এই মরশুমে সব ম্যাচে খেলাতে পারেনি আরসিবি। আর কাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সুযোগ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে তো ব্যর্থ হয়েইছেন, তার ওপর নিজের নামের সাথে একটি লজ্জাজনক রেকর্ডও জুড়ে ফেলেছেন আরসিবির তারকা।

শুক্রবার রাতে, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিরাজের কাছ থেকে একটি ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত ছিল কিন্তু কাল সিরাজ লাইন লেংথ এবং উদ্ভাবনীক্ষমতা ড্রেসিংরুমে রেখে বল করতে নেমেছিলেন। কাল তিনি মাত্র দুই ওভার হাত ঘুরিয়েই ৩১ রান বিলিয়েছিলেন। বাটলার এবং যশস্বী জয়সওয়াল খুব সহজেই তার ডেলিভারিগুলিকে বাউন্ডারির রাস্তা দেখিয়ে যাচ্ছিলেন। কালকের ম্যাচের পর তিনি আইপিএলের একটি মরশুমে প্রথম বোলার হিসাবে ৩০টি ছক্কা খাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। তার আগে এই কাজ কেউ করে দেখাতে পারেননি। তিনি আইপিএল ২০২২-এ মোট ৩১টি ছক্কা খেয়েছেন।

mohammed siraj

কাল অবশ্য গোটা দল হিসাবেই ব্যর্থ হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আরসিবির ব্যাটিং লাইন আপে লড়াই করলেন শুধু এলিমিনেটরের নায়ক রজত পতিদার। এই ম্যাচেও তিনিই আরসিবির ব্যাটিংকে টানলেন। ৪২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয় সহযোগে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে তাকে কিছুটা সাহায্য করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট খুইয়ে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি আরসিবি। ৩টি করে করে উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং ওবেদ ম্যাকয়।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিজেদের মনোভাব পরিষ্কার করে দেন রাজস্থান রয়্যালসের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। প্রথম ওভার থেকেই তারা কড়া আক্রমণের রাস্তা বেছে নেন। যশস্বী ১৩ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেও বাটলার নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে থাকেন। প্রথম দশ ওভারের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচের ভবিষ্যৎ। অসাধারণ ব্যাটিং করেন বাটলার। পেস হোক বা স্পিন, দুইয়ের বিরুদ্ধেই সমানভাবে সাবলীল ছিলেন তিনি। মরশুমের চতুর্থ শতরান করেন তিনি। ৬০ বলে ৬টি ছক্কা ও ১০টি চার সহ ১০৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ১১ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর