বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন ভারতের প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজ (Md Siraj)। সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের (BCCI) দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (ACU) তিনি একটি ব্যক্তিগত পর্যায়ে হওয়া দুর্নীতিমূলক ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করেছেন। আইপিএল শুরু হওয়ার আগে একজন ব্যক্তি তার কাছ ড্রেসিংরুমের ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চেয়েছিল।
জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি বাজি ধরে জুয়া খেলার সময় প্রচুর অর্থ হারিয়েছিলেন। তাই পরে দ্বিগুন লাভের আশায় ভারতীয় পেসারের কাছ থেকে ভিতরের তথ্য চেয়েছিলেন। আইপিএল ২০২৩ শুরু হওয়ার ঠিক আগে মার্চ মাসে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ওডিআই সিরিজ চলাকালীন তার কাছে এই তথ্য গুলি চাওয়া হয়েছিল এবং তিনি বিষয়টি সেই সময়ই এই সংস্থার কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন যা এতদিন তাদের তরফ থেকে গোপন রাখা হয়েছিল।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, “যে যোগাযোগ করেছে সে কোনও বুকি ছিল না। সিরাজ জানিয়েছে এবং তারাও তদন্ত করে দেখেছে সিরাজের শহর হায়দরাবাদেই ওই ব্যক্তি একজন ড্রাইভারের কাজ করেন যিনি ক্রিকেট ম্যাচে বাজি ধরার নেশায় মত্ত। তিনি কিছুদিন আগেই প্রচুর অর্থ হারিয়েছিলেন এবং ভিতরের খবর জানার জন্য সিরাজের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “সিরাজ ঠিক কাজ করেছেন অবিলম্বে আমাদের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে। লোকটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা করা হচ্ছে।” যখন থেকে রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটার এবং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের এক কর্মকর্তাকে গড়াপেটা কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে তখন থেকেই এই বিষয়ে নিয়ম অনেক কড়া হয়েছে।
খেলোয়াড়দের জন্য একটি বাধ্যতামূলক এসিইউ কর্মশালা রয়েছে যেখানে ক্রিকেটের দের সাথে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটতে তাদেরকে রিপোর্ট করতে হয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ২০২৯ সালে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল কারণ তিনি ২০২৮ সালের শুরুতে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়, সেইসাথে সেই বছরের শেষের দিকে তার আইপিএল চলাকালীন সময়ে একটি দুর্নীতির ঘটনা জানা সত্ত্বেও রিপোর্ট করেননি।