বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে শুরু ভারতীয় ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা ডুরান্ড কাপ। আর ১৩১তম ডুরান্ড কাপে প্রথম ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পরেও দুরন্ত কামব্যাক করে মঙ্গলবার যুবভারতী জমিয়ে দিল মহামেডান স্পোর্টিং। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণ প্রত্যাবর্তন করলেন আন্দ্রে চেরনিশভের ছেলেরা। ৩৪ মিনিটে নেমিলের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এফসি গোয়া। তারপর দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯, ৮৩ ও সংযুক্ত সময়ের গোলে ৩-১ ফলে জয় সাদা কালো ব্রিগেডের। গোল করেন মহামেডানের প্রীতম সিং, ফজলু রহমান এবং তারকা বিদেশি ও সাদা কালো অধিনায়ক মার্কাস জোসেফ।
এদিন বলে লাথি মেরে ডুরান্ডে কাপের ১৩১ তম সংস্করণের শুভারম্ভ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরও দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মনোজ তিওয়ারি। প্রায় ১৩,০০০ দর্শকের সামনে বলে লাথি মারেন এবং দুই দলের ফুটবলারদের সাথে ছবি তুলে সৌজন্য বিনিময় করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
The pompous Inaugural Ceremony for the 131st – The occasion was graced by the presence of the hon’ble CM of West Bengal, Smt. @MamataOfficial along with hon’ble @aroopbiswasaitc , & hon’ble @tiwarymanoj, followed by other chief dignitaries. pic.twitter.com/YBdFRPP2kE
— Durand Cup (@thedurandcup) August 16, 2022
ম্যাচ শুরুর বেশ কিছুটা আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় যুবভারতীতে পৌঁছে যান মমতা। যদিও সাম্প্রতিক ফিফা ব্যান বিতর্কের কারণে নিজের বক্তব্যকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছিলেন তিনি। যেহেতু কয়েকদিন আগে তিনি মোহনবাগানের নতুন তাঁবু উদ্বোধনে গিয়ে নিজের মহামেডান প্রীতির কথা জানিয়েছিলেন তাই ওই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যর পরেও হাততালির অভাব হয়নি। তারপর কিছুক্ষণ সময় ভিভিআইপি বক্সে কাটিয়ে প্রতিযোগিতার থিম সঙ শুনে বিদায় নেন তিনি।
অপরদিকে নৈহাটির বঙ্কিমঞ্জলী স্টেডিয়ামে কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবার এফসির সাথে গোলশূন্য ড্র করলো ইস্টবেঙ্গল। প্রীতি ম্যাচ খেলতে মূলত তরুণ রিজার্ভ ফুটবলারদের পাঠিয়েছিলেন কনস্ট্যানটাইন। মূল দল অনুশীলনেই ব্যস্ত ছিল। ডায়মন্ড হারবারের তীর্থঙ্কর, বিক্রমজিৎরা ভালোই পরীক্ষা নিলেন ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলের। মাঝমাঠে দীপ সাহা এবং ডিফেন্সে লালচুংগুঙ্গা ভালোই খেলেছেন। তবে এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেন গোলরক্ষক দেবনাথ মন্ডল। দুই বার নিশ্চিত গোল অবিশ্বাস্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দলের পতন রোধ করেন তিনি। তবে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে চিন্তার কারণ যে এক সপ্তাহও নেই তাদের মরশুম শুরু হতে কিন্তু দলে এখনও কোনও ফিজিও, গোলকিপিং কোচ নেই। তৈরি হয়নি অফিসিয়াল জার্সি, হাতে নেই পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়ের সরঞ্জাম। ফলে কিছুটা চিন্তায় লাল-হলুদ ভক্তরা।