বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগে পর্যন্তও চর্চার মধ্যমণি ছিল একটি নাম, রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। একটি ভিডিওর জেরে গোটা নেটদুনিয়া এবং শিল্পী মহলের একাংশ তাঁর শত্রু হয়ে উঠেছিল। নির্ঘুম রাত কেটেছে একের পর এক। রূপঙ্কর তো বটেই, কুৎসিত আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী, মা, ছোট মেয়েও।
আজ ফাদার্স ডে। বিতর্কের রেশও অনেকটা কম। বাবার জন্য এদিন কলম ধরেছেন রূপঙ্করের মেয়ে মহুল বাগচী (Mohul Bagchi)। এর আগে ‘ইসমার্ট জোড়ি’র মঞ্চে এসে রূপঙ্কর চৈতালি জানিয়েছিলেন, তাঁদের আক্ষেপের কথা। নিজে সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি চৈতালি। মহুল তাঁদের দত্তক নেওয়া মেয়ে।
কিন্তু মহুল জানালেন, তাঁর ও রূপঙ্করের সম্পর্কটা আর পাঁচটা বাবা মেয়ের মতোই। ছোট থেকেই মহুল দেখে এসেছেন, বাবা সবসময় খুব ব্যস্ত। কিন্তু তার জন্য কখনো মেয়ের জন্য তিনি সময় বের করতে পারেননি এমনটা হয়নি। কিছুদিন আগেও অনুষ্ঠান থেকে ভোরবেলায় ফিরে আবার মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসেছেন রূপঙ্কর।
সারাদিনের জমিয়ে রাখা কথা তখনি বলার সময় হয় বাবা মেয়ের। রূপঙ্কর কোথায় গান গাইলেন, কী গান গাইলেন, সবই মহুলের কাছে গল্প করেন তিনি। মহুল বলেন, আর সবার বাবাও ব্যস্ত থাকেন। তাঁর বাবার ব্যস্ততাটা শুধু একটু অন্য রকমের। রূপঙ্করও ছুটি নিয়ে বাড়িতে থাকেন।
সেই দিনগুলো গানে, গল্পে, খেলায়, ছবি এঁকে কেটে যায় বাবা মেয়ের। বাবাকে দেখে মহুলেরও গানের প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। তিনি নিজে ইউকেলেলে বাজান। গান তুলে বাবাকে আগে শোনান। রূপঙ্করেরও নতুন কোনো গান ভাল লাগলে মহুলকে শুনতে বলেন।
কিছুদিন আগে পর্যন্তও রূপঙ্করকে ভয়ঙ্কর মানসিক বিপর্যস্ত থাকতে দেখেছেন মহুল। যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছেন বাবার পাশে থাকার। ফাদার্স ডে তে মহুলের প্রার্থনা, তাঁর বাবাও যেন ভাল থাকে। বাবার সব ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করবেন তিনি।