বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ফের ভূলুণ্ঠিত হলো শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের সম্মান। মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিলো ময়দান। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গেল উন্মত্ত জনতার মধ্যে। সবুজ-মেরুণ ক্লাব কর্মকর্তাদের দাবি, যারা এই কাজ করেছেন তারা কর্তাদের পরিচিত নন। শনিবারই ছিল ক্লাবের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর সেই দিনেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ল ময়দানে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল ময়দানে যখন মারামারি হচ্ছে তখন ঠিক একই সময় কর্তারা আবার তাঁবুর ভেতরেই বৈঠক করছিলেন।
ক্লাবের নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যাপারে খুবই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছিল। শেষ দিনে এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ক্লাব নিয়ে অস্বস্তিতে ক্লাবকর্তারা। তাঁবুর বাইরেই আচমকা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই অজানা পক্ষ যাদের সাথে ক্লাবের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে ক্লাব কর্তারা। হকি স্টিক, ক্রিকেট ব্যাট, উইকেট নিয়ে দুই দলের মধ্যে চলে মারপিট। এই ঘটনার জেরে মোট আহত হন তিন জন। তাছাড়া সেখানে উপস্থিত বেশ কিছু গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে সচিবের দায়িত্বে থাকা সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িও জানালা গুলিও চুরমার হয়ে যায়। ক্লাব থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়ির সঙ্গীন দশা দেখে তাঁবুর ভেতরে ঢুকে যান সত্যজিৎ। দেবাশিস দত্তর সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। এরপর ডাকা হয় ময়দান থানার পুলিশ আধিকারিকদের, যারা জানিয়েছেন যে তারা জানতেনই না মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।
ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে নির্বাচনে বিরোধী কেউ ছিলেন না। বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস দত্তকে সচিব পদে চাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। তবুও কেন এমন ঘটল সেটাই বড় প্রশ্ন। যদিও ক্লাব কর্তারা দাবি করেছেন যে এই ঘটনার সাথে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। বাইরের কিছু লোক নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করেছে। ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই ঘটনায় ক্লাবের কেউই জড়িত নয়।