বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হারের জ্বালা ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মিটিয়ে নিলো মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ১০ জন হয়ে গিয়েও ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ ফলে হারিয়ে আরো একটা ট্রফি জিতলো সবুজ মেরুন শিবির। সমর্থকরা মাঝে কিছুটা চিন্তায় পড়তে হলেও শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ তারকা খেলোয়াড়দের দিয়ে যে জন্য দল গঠন করা হয়েছিল সেই উদ্দেশ্যটা মরশুমের শুরুতেই পূর্ণ হয়ে গেল।
ইস্টবেঙ্গল যে এইদিন খারাপ ফুটবল খেলেছে, সেটা বলা যাবে না। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে তাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এই ফল ভুগতে হবে তাদের সমর্থকদের। গত ম্যাচে গোল করে হিরো হয়েছিলেন নন্দকুমার। এই ম্যাচে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে তিনি ভিলেন হয়ে গেলেন।
ফাইনালে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত ফাউল করে অনিরুদ্ধ থাপা লাল কার্ড দেখেছিলেন। তখন অনেকেই ধারণা করেছিল যে ইস্টবেঙ্গল এবার ম্যাচের দখল পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেবে। ৬২ মিনিটে এই ঘটনার কারণে ইস্টবেঙ্গল একজন বাড়তি খেলোয়াড়ের সুবিধা উপভোগ করছিল।
কিন্তু সেই সুবিধা তারা কাজে লাগাতে পারেনি। দিমিত্রী পেট্রাটোসকে মাঝমাঠে বল ধরে বিনা বাধার বক্সের কাছে এগিয়ে আসার সুযোগ দেওয়ার আসল গুনতে হলো তাদের। পেনাল্টি বক্সের অল্প বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দূরপাল্লার শটে কিছুটা ডিফ্লেকশনের সহায়তায় গিলকে পরাস্ত করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন এবং সেই গোলটি শেষ পর্যন্ত নির্ণায়ক হয়ে যায়।
এই ম্যাচে রেফারিং সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ ওঠার সম্ভাবনাই ছিল না। মোটামুটি ঠিকঠাক ম্যাচ পরিচালনা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত রেফারি। আজ অবধি ডুরান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ট্রফি জয় রেকর্ড যৌথভাবে ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের নাম। দুই দল ১৬ বার করে এই টুর্নামেন্ট জিতেছিল। কিন্তু আজকের ফাইনাল ইস্টবেঙ্গলকে পেছনে ফেলে দিল সবুজ মেরুণ শিবির। ছয় বছর ধরে ইস্টবেঙ্গলের ট্রফিহীন দুঃখজনক যাত্রা অব্যাহত থাকলো।