মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হতেই বেঙ্গালুরুর মালিকের গায়ে আতসবাজি! চটে লাল পার্থ জিন্দাল

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শনিবারের রাতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ছবিজুড়ে শুধুই ছিল সবুজ-মেরুন রং। সপ্তাহের শেষ দিনে তিলোত্তমা পেয়ে যায় তার সব থেকে বড় উপহার। যেখানে ISL-এর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইতে ফাইনাল ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant)।

ISL চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant):

আর তারপরেই খুশিতে মেতে ওঠেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) লিগ শিল্ড ঘরে তুলেছিল। এবারে ISL-এর চূড়ান্ত ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ভারতসেরা হয়েছে মোহনবাগান। এদিকে, এই চরম উত্তেজক ম্যাচটি পরিলক্ষিত করার জন্য যুবভারতীতে হাজির ছিলেন বেঙ্গালুরুর মালিক পার্থ জিন্দাল। কিন্তু, তাঁর সাথে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যেটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

শুধু তাই নয়, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পার্থ জিন্দাল নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আসলে, যুবভারতীতে জয়ের পর মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) সমর্থকরা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। গ্যালারিতে জ্বালানো হয় আতসবাজিও । আর ওই আতসবাজি গায়ে লাগার অভিযোগ করেছেন বেঙ্গালুরু এফসির মালিক।

আরও পড়ুন: ধোনি অধিনায়ক হতেই তাঁকে “আনফলো” করলেন রুতুরাজ? ব্যাপারটা কী?

ইতিমধ্যেই এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি “এক্স” হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট লিখেছেন। যেখানে তিনি বলেন, “স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির খেলোয়াড়দের সমর্থন করার সময় আমার গায়ে আতসবাজি লাগে। কলকাতায় ISL ফাইনালের সময় এই রকমের নিরাপত্তা কি আমরা আদৌ আশা করব?”

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে গ্রেফতার করাবেন ইউনূস! হতে পারে ফাঁসি? পড়শি দেশে ফের উঠবে ঝড়?

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত শনিবার ফাইনাল ম্যাচের শেষে যুবভারতী থেকে বাইরে আসার সময় মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন পার্থ জিন্দাল। যেখানে তিনি স্পষ্ট জানান যে, “আমার গায়ে আতসবাজি লেগেছে। আমি মনে করি যে, হিংসার কোনও জায়গা ফুটবলে নেই। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি খেলা দেখতে আসার সময়ে স্টেডিয়ামে বাজি নিয়ে আসবেন না।” তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আরও জানান, “আপনারা অবশ্যই খেলাটা উপভোগ করুন। কিন্তু অ্যাওয়ে দলের সমর্থক বা অন্য কারোর দিকে অন্তত আতসবাজি ছুড়বেন না।”

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X