বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরও একবার সংবাদের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের (UP) লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri) । সম্প্রতি দুই বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও একই রকম ঘটনা ঘটল। জানা যাচ্ছে, লখিমপুর খেরি জেলার মূসেপুর গ্রামে দুই ব্যক্তি এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। মেয়েটি তাদের বাধা দিলে ওই দুই অভিযুক্ত প্রচণ্ড মারধর করে। গুরতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও ভয়ানক। ১৬ সেপ্টেম্বর ওই মহিলার মৃত্যু হয়। জানা যায়, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি ভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত। এরপরই পরিস্থিতি মারাত্মক জটিল হয়ে ওঠে। পুলিস তড়িঘড়ি গ্রেফতার করে দুই অভিযুক্তকে। গত ১২ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন মেয়েটি বাড়তে একা ছিল। সেই সময় এলাকারই বাসিন্দা সলীমুদ্দিন এবং আসিফ তাঁর ঘরে ঢুকে যায়। এরপরই তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সেই মহিলা বাধা দিতে গেলে নির্বিচারে মারধর করে। মেয়ের চিৎকার শুনে পৌঁছায় মা। দুই অভিযুক্ত মাকের মারধর করে পালিয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে।
এরপর ওই মহিলার মা থানা যান অভিযোগ জানাতে। কিন্তু পুলিস কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করেনি। এমনি ওই মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষারও অনুমতি দেয়নি। মহিলার মা অভিযোগ করে বলেন, পুলিস সময়মত ব্যবস্থা নিলে হয়ত তাঁর মেয়ে বেঁচে যেত। তিনি জানান, দু’টি থানায় অভিযোগ জানাতে যান তিনি। কিন্তু কোনও থানাতেই তাঁর অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অবশেষে ভীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানা যায়। সূত্রের খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ হয়। তদন্তের দায়িত্ব জেলার এএসপি অরুণ কুমার সিংহকে দেওয়া হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর ওই মহিলার মৃত্যু হলে পুলিস তড়িঘড়ি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রুখতে এই পদক্ষেপ করে পুলিস। তবে পুলিসের এই কাণ্ডে যথেষ্ট বিতর্ক উঠছে গোটা এলাকা জুড়েই।