মোমো বানিয়েই এই মহিলা দুহাতে আনছেন টাকা! বাঁকুড়ার মেয়ে কাঁপিয়ে দিচ্ছে দুর্গাপুরের বাজারও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জন্মসূত্রে তিনি বাঁকুড়ার মেয়ে। তবে তার তৈরি মোমো দুর্গাপুরেও বাজিমাত করেছে। খাদ্য রসিকদের কাছে বর্তমানে  অত্যন্ত পরিচিত নাম আন্টি’স স্পেশাল কিচেন-এর কর্ণধার বাঁকুড়ার মেয়ে কণিকা চট্টোপাধ্যায়। কীভাবে তিনি এই ব্যবসা শুরু করেন? কতটা সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে? এই বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন।

এখন এই উদ্যোগপতিকে সবাই চেনেন ‘মোমো আন্টি’ নামে। এই মহিলা উদ্যোগপতি স্বনির্ভরতার পথ দেখিয়েছেন বাঁকুড়ার মহিলাদেরও। মোমো বিক্রেতা কণিকা চ্যাটার্জি বাঁকুড়ার ছাতনার দুবরাজপুরের বাসিন্দা। কণিকার হরেক রকম মোমোর পসার দেখা যায় বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের কাছে। অস্থায়ী স্টলে তিনি বিক্রি করছেন গন্ধরাজ মোমো থেকে শুরু করে চকোলেট মোমো।

আরোও পড়ুন : ছোট ১ টাকার কয়েন কি আর চলবে না? ভারতীয় মুদ্রা নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের বড় ঘোষণা

এখানে আগত পর্যটকদের এখন অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই দোকান। এমনকি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং প্রশংসা করেছেন কণিকার মোমোর।ভেজিটেরিয়ানদের জন্য কণিকার দোকানে রয়েছে কর্ন ও পনির মোমো। বর্তমানে বহু ব্যবসায়ী কণিকার কাছ থেকে মোমো নিয়ে ব্যবসা করছেন। কণিকার কথায় বাঁকুড়ার প্রান্তিক কোনও গ্রাম হোক কিংবা শহর, সৎ ভাবে ব্যবসা করলে সাফল্য আসবেই।

paneer momos 500x500 1

কণিকা চট্টোপাধ্যায় ওরফে মোমো আন্টি জানাচ্ছেন, “লকডাউনের সময় স্বামীর এবং সংসারের পাশে দাঁড়াতেই এক্সপেরিমেন্টাল ভাবে শুরু হয়েছিল মোমোর ব্যবসা। মোমো রেখে বিক্রি করার মতো টেবিল পর্যন্ত ছিল না। শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বন্ধু বান্ধবদের সাহায্যে একটু একটু করে স্থিতিশীল হতে থাকে বাঁকুড়ার এই মেয়ের কর্মকাণ্ড।”

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর