একেবারে ফাটা বাঁশে অনুব্রত! পরিবারের সঙ্গেও বিচ্ছিন্ন নেতার যোগাযোগ, কারণ কী?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) বর্তমানে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঠিকানা দিল্লির তিহাড়। সেখানেই জেলের ঘানি টেনে দিন কাটছে তার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে শোনা যাচ্ছে শারীরিকভাবে ভালো নেই তিনি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন নেতা।

সমস্যা বাড়ায় সোমবারই তড়িঘড়ি তিহাড়ের ডিসপেনসরিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সেখানেই থাকবেন কেষ্ট। তবে এর মধ্যেই হাজির আরেক ঝামেলা। তিহাড়ে থেকে ফোনে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না নিজের পরিবারের সঙ্গে। এই নিয়েই উদ্বিগ্ন অনুব্রত নিজের আইনজীবীকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন।

তবে কেন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না অনুব্রত? সূত্রের খবর, বাংলা ছেড়ে দিল্লি যাওয়ার সময় নিজের আধার কার্ড (Aadhar Card) নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছেন কেষ্ট। আসানসোলেই তা ফেলে এসেছেন নেতা। আর এতেই একেবারে বেকায়দায় ‘বীরভূমের বাঘ’। প্রসঙ্গত, জেলের নিয়ম অনুযায়ী তিহাড়ের প্রত্যেক কয়েদিকে ৫ মিনিট করে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয়।

anubrata jail

সেখানেও অনেক নিয়ম। জেলের ফোন ব্যবহার করতে হলে বন্দিকে আধার কার্ড সহ নিজের নাম রেজিস্ট্রার করতে হয়। তারপরই মেলে ফোন। তবে যেহেতু অনুব্রত নিজের আধার কার্ড আসানসোলেই ফেলে এসেছেন তাই দরকারেও পরিবারেরও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি। নাই নিজের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানাতে পারছেন তিনি।

অন্যদিকে, শারীরিক সমস্যার সাথে আজ বেশ কিছুটা মানসিক সমস্যাও বেড়েছে অনুব্রতর। বুধবারই দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, এদিন বিচারক দীনেশ শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি (Hearing) প্রায় ৪ মাস পিছিয়ে দিয়েছে। যার মানে গিয়ে দাঁড়ালো আপাতত বেশ কিছু মাস তিহাড়েই জেলের ঘানি টেনে দিন কাটাতে হবে ‘বীরভূমের বাঘ’ তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলকে। একদিকে পরিবারের সাথে হচ্ছেনা যোগাযোগ, অন্যদিকে বহুদিন কাটাতে হবে তিহাড়েই। সব মিলিয়ে একেবারে নাজেহাল কেষ্ট মণ্ডল।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর