হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ! মামলা গেল কলকাতা হাইকোর্টে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। তার আগে একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) নাম। সম্প্রতি ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলায় দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। সেই ঘটনা নিয়ে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চলছে। এবার এক তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর বিরুদ্ধে উঠল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

মথুরাপুরের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার (TMC Candidate Bapi Halder) এবং তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, অভিযোগ এনেছেন বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান। একই জায়গায় একাধিকবার কাজ দেখিয়ে পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন মথুরাপুরের (Mahutapur) কৃষ্ণ চন্দ্রপুর গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান, এই অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

এবার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে টাকা আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ। টাকা বরাদ্দ করা সত্ত্বেও কাজ হয়নি, এই দাবি তুলে মামলা দায়েরের আবেদন করেন বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর অভিযোগ, বিডিও, ডিএম, এসডিও-কে এই প্রেক্ষিতে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন, তবুও কাজ হয়নি।

আরও পড়ুনঃ এই ‘হেভিওয়েট’ তৃণমূল নেতাই ফাঁসিয়েছে তাকে, আদালতে নাম বলে তোলপাড় ফেললেন আরাবুল!

এরপর অর্থমন্ত্রকে অভিযোগ জানানোর পর অভিযোগকারীকে বারবার হুমকি দেওয়া হছে বলে দাবি করা হয়েছে। এবার পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান আদালতের দ্বারস্থ হলেন। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি এবং সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। জানা যাচ্ছে, এই সপ্তাহেই মামলার শুনানি হতে পারে।

mathurapur tmc candidate bapi halder

প্রসঙ্গত, গত ২-৩ বছরে একাধিক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েটের। লোকসভা ভোটের মুখেও সেই ধারা অব্যাহত। গত মার্চ মাসে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপের বাড়িতেও আয়কর হানা দিয়েছিল। সদ্য আবার ঘটেছে ভূপতিনগর কাণ্ড। এসবের মাঝেই এবার সামনে এল মথুরাপুরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর