বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রণব মুখোপাধ্যায় (Pranab Mukherjee), ভারতের (India) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গত ৩১ শে আগস্ট এই ইহোলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন। ভারতের এই মহান মানুষের মৃত্যুর পর তাঁর জীবনের নানান অজানা কথা উঠে এসেছে। কখনও তাঁর সুপ্ত ইচ্ছা, আবার কখনও ছেলেবার নানা মজার কাহিনী। দেশের এই মহান নেতা যেমন পরজন্মে রাষ্ট্রপতির ঘোড়া হয়ে জন্মাতে চেয়েছিলেন, তেমনই তিনি নাকি শৈশব কালে টাকার গাছও লাগিয়েছিলেন।
আজকের দিনের এই বর্ষীয়ান নেতা তখন অনেক ছোট। অর্থাৎ তার শৈশব কালে তিনি যখন তাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকতেন, তখন এক ব্যক্তি তাকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে মজার ছলেই বলেছিলেন, টাকার যদি গাছ হত, তাহলে আর কোন অভাব থাকত না।
টাকার গাছ পুঁতেছিলেন প্রণব বাবু
ওই ব্যক্তির কথার মানে না বুঝতে পেরে সেদিনের ছোট্ট প্রণব টাকার গাছ বানানোর চিন্তা করতে লাগলেন। শেষমেশ টাকার গাছ বানাতে তিনি ওই ব্যক্তির দেওয়া টাকাগুলো মাটিতে পুঁতে তাতে জল দিতে থাকেন। এইভাবে রোজ নিয়ম করে জল দিতেন আর দেখতেন টাকার গাছ বেরোল কিনা।
ছোট্ট প্রণবের এই কর্মকাণ্ড দেখে একদিন তাঁকে কিছু না জানিয়েই মাটি খুঁড়ে সবটাকা তুলেনেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু প্রণব বাবু প্রথমটায় না জানলেও পরবর্তীতে যখন জানতে পেরেছিলেন, তখন একেবারে বোকা বোনে গিয়েছিলেন। তখন তিনি বুঝতে পারলেন এই টাকার গাছের অর্থটা। সেইসমতই রাজনৈতিক জীবনে দেশ চালাতে তাঁর এই শৈশবকালের শিক্ষা প্রভাব ফেলেছিল।
স্কুলে না গিয়ে খেলতে যেতেন
দেশের রাষ্ট্রপতির আসন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সামলালেও, তিনি কিন্তু ছোটবেলায় অনেক দুষ্টু ছিলেন। অধিকাংশ দিনই স্কুলে যাওয়ার নাম করে খেলতে চলে যেতেন। এই খবর একদিন তাঁর মায়ের কানে পৌঁছায়। তবে তিনি কিন্তু তখন ছোট্ট প্রণবকে না বকাবকি করে উল্টে বুঝিয়েছিলেন, খেলধূলা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু তাই বলে পড়াশোনা করবি না? দেখ প্রকৃত মানুষ হতে গেলে কিন্তু দুটোই প্রয়োজন। মায়ের এই কথা শোনার পর থেকে নিজেকে বদলে নিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।