বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমগ্ৰ বিশ্বজুড়েই কার্যত দাপট দেখিয়েছে অদৃশ্য মারণ ভাইরাস করোনা। পাশাপাশি, এই ভাইরাসের প্রকোপে প্রাণও হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। যদিও, করোনার হানা থেকে এখনও রেহাই পায়নি মনুষ্যজাতি। এমনকি, করোনার উৎসস্থল চিনেই নতুন করে দাপট দেখাচ্ছে ওই ভাইরাস। পাশাপাশি, আমাদের দেশেও এখনও বজায় রয়েছে সংক্রমণের রেশ। এক কথায়, এই মহামারীর প্রভাব বর্তমানেও পরিলক্ষিত হচ্ছে বিশ্বজুড়েই।
তবে, এরই মাঝে নতুন করে চিন্তা বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই আরও একটি ভাইরাস ক্রমশ প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার ব্রিটেনে Monkeypox Virus-এর নতুন একটি সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মূলত, এই ভাইরাস ইঁদুরের মত প্রাণী থেকে ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি, যে ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে তিনি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, মনে করা হচ্ছে যে, সেখান থেকেই এই ভাইরাস বাসা বেঁধেছে ওই ব্যক্তির শরীরে।
সতর্ক রয়েছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগ:
এই সংক্রমণের খোঁজ পাওয়ার পরই ব্রিটেনের হেলথ প্রোটেকশন এজেন্সি সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই সংস্থাটি জানিয়েছে যে, Monkeypox একটি বিরল ভাইরাস এবং এটি সহজে ছড়ায় না। সংস্থাটি আরও বলেছে, এই ভাইরাস নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। এর উপসর্গগুলোও সামান্য।
তবে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফের সুস্থ হওয়া সম্ভব। যদিও, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। এদিকে, গত বছরের জুলাই মাসে আমেরিকার টেক্সাসে এক ব্যক্তির এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে:
এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, Monkeypox Virus-এর প্রথম সংক্রমণের খবর পাওয়ার পরই অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই সংক্রমিত ব্যক্তির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে এবং শারীরিক ভাবেও আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো আছেন তিনি। যদিও, তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে শনাক্ত করার পর, তাঁদের এই ভাইরাস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
Monkeypox Virus কি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, Monkeypox হল একটি বিরল ভাইরাস। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে “ফ্লু”-র লক্ষণ দেখা যায়। এমনকি, কিছুজনের ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতি হলে নিউমোনিয়ার উপসর্গও দেখা যায়। এছাড়াও, এই ভাইরাসের প্রভাবে সারা শরীর ও মুখে ফুসকুড়ি দেখা দিতে শুরু করে।