বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই এখন ‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam)। ভুবন বাদ্যকরের (Bhuban Badyakar) গানে দিনরাত বিভিন্ন দেশের মানুষ কোমর দুলিয়ে নেত্য করে যাচ্ছেন। বীরভূমের এক অখ্যাত গ্রাম আজ ভুবনের জন্যই বিখ্যাত। একের পর গান রেকর্ড করছেন ‘বাদাম কাকু’। রিয়েলিটি শো তে আসছেন, নাইটক্লাবে গাইছেন।
ভাইরাল সংষ্কৃতি নিয়ে নেটনাগরিকদের একাংশ মজে থাকলেও একটা বড় অংশই কিন্তু তিতিবিরক্ত। বাংলা গানের জগতে অপসংষ্কৃতি ঢুকছে বলেই মত তাদের। বিষয়টা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিশিষ্ট গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য (Monomoy Bhattacharya)।
এই সময় ডিজিটালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সঙ্গীতশিল্পী বলেন, কসমোপলিটানের সময় এটা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ এখন যা পাচ্ছে তাই শুনছে। তবে ভুবন বাদ্যকরের গান শোনার মানুষ যেমন আছে, তেমনি মনোময় ভট্টাচার্যের গানের শ্রোতাও রয়েছে। যার থাকার সে ঠিকই থেকে যাবে, মন্তব্য গায়কের।
তবে ‘কাঁচা বাদাম’ এর মতো গান ভাইরাল হওয়া, ভুবন বাদ্যকরকেও ‘শিল্পী’ তকমা দেওয়া নিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ মনোময়। তবে তাঁর পরামর্শ, মানুষকেই বেছে নিতে হবে কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ। আগেকার সময় আর এখনকার সময়ের মধ্যে পার্থক্যের কথা বলতে গিয়ে মনোময় জানান, আগে সিডি, রেকর্ড প্লেয়ারে গান ভাইরাল হত। এখন সেই জায়গাটা নিয়েছে ইন্টারনেট।
তবে এ যুগের সমস্যা হল, একটা গান ভাইরাল হতে না হতেই আরেকটা গান চলে আসে। তাই মানুষকেই বাছতে হবে কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ। সেই সঙ্গে মনোময় আরো বলেন, ভুবন বাদ্যকরের মতো শিল্পীরা রাতারাতি ভাইরাল হয়েছে ঠিকই। তবে ওসব গান মুহূর্তের জন্য ভাইরাল হয়। আজ আছে, কাল অন্য কোনো গান আসবে। তবে মনোময় ভট্টাচার্য বলেন, “সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে সারাজীবন ছিল, আছে আর থাকবে।”