বাংলাহান্ট ডেস্ক : পয়গম্বরের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলায়। অবরুদ্ধ রাস্তা, জ্বলছে টায়ার, মার খাচ্ছে পুলিশ, নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। এই অবস্থাকে নিজের চোখে দেখে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন। আসার পথেই রাস্তা অবরোধের জেরে নাস্তানাবুদ হন তিনি।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, ১০ জুন বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তাই ৯ জুন তিনি বাড়ি থেকে রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। তখন এনএইচ-৬ অবরোধ চলছে। ১১ ঘন্টার অবরোধের মাঝে পড়েন তিনিও। তিনি লেখেন, ‘প্রায় ১০/১১ ঘন্টার সেই জ্যামে, অসংখ্য মানুষ কী কষ্টের মধ্য আছে, কত রোগীর প্রাণ বিপন্ন হচ্ছে, তার কিছু সাক্ষী হয়েছিলাম।’ শুধু তাই নয় তিনি রাস্তার পাশেই প্রাত্যিক কর্ম সারতেও বাধ্য হন বলে জানিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ওঁদেরই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে মা-বোনেদের কী অবস্থা হচ্ছে তা ভাবাই যায় না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার গাড়ি চালক মুসলিম ধর্মের মানুষ। নবীজিকে নিয়ে বক্তব্যে সেও খুব দঃখিত এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু সেও এই ভাবে রাস্তা আটকে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়াকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি।’ তিনি নিশ্চিত এই যারা রাস্তা আটকে ছিল তারাও এই অবস্থার মধ্যে পড়লে বলতো, এইভাবে প্রতিবাদ উচিত নয়। মনোরঞ্জন বাবু বলেন, যে দোষ করেছে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু তার অপরাধে সাধারণ মানুষ এই রকম যন্ত্রণা দেওয়ার কোনও মানে হয় না।
মনোরঞ্জন ব্যাপারি বলাগড়ে ফিরতে পারেননি। রয়ে গেছেন কলকাতায়। বলাগড়ে বেশ কয়েক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেগুলিতে অংশ গ্রহন করতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। বিধানসভার বাদল অধিবেশন শেষ হলে আবার বলাগড় ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন মনোরঞ্জনবাবু।