বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিন প্রতীক্ষার পর অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে এসে পৌঁছালো বর্ষা। কেরলে তা পূর্বেই বর্ষা প্রবেশ করে, এমনকি উত্তরবঙ্গেও গত 3 রা জুন এসে পৌঁছায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তবে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে তা উত্তরবঙ্গে আটকে থাকার ফলে দক্ষিণের ভাঁড়ার থাকে শূন্য। সকাল হলেই মেঘলা আকাশ থাকলেও সারাদিন গুমোট ভাব বজায় ছিল বঙ্গে। তবে এদিন অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এসে পৌঁছালো বর্ষা।
শনিবার সকাল থেকেই বজায় থাকে মেঘলা আকাশ এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলনে আবহাওয়া অফিস দ্বারা বর্ষা এসে পৌঁছানোর খবরটি কনফার্ম করা হয়। ইতিমধ্যে কলকাতা সহ আরও 9 টি জেলায় এসে পৌঁছেছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
আগামী কয়েকদিন কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমান এবং বীরভূমের বেশকিছু প্রান্তে বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে প্রথম কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকবে চলেছে মানুষ। এক্ষেত্রে 20 তারিখের পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। তবে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই 24 পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের এক অধিকর্তা জিকে দাসের কথায়, “গত 10 বছরের রেকর্ড দেখলে জানা যায়, কোন কোন বছর বর্ষা আসতে 18, 19 এমনকি 20 তারিখ পর্যন্ত লেগে যায়। এক্ষেত্রে কেরল কিংবা উত্তরবঙ্গে আগে বর্ষা এসে পৌঁছালেই যে দক্ষিণবঙ্গেও তা আসবে, সেটা বলা যায় না। তবে বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দু-তিন দিন সব জায়গাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে এবং 20 তারিখের পর থেকে তা বাড়বে।”
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী দুদিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের বিভিন্ন প্রান্তে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে। তবে সোমবারের পর থেকে এই সকল স্থানগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।