বর্ষায় হাসপাতালে উপদ্রপ বিষাক্ত পোকামাকড় থেকে বিষাক্ত সাপ

 

সনাতন গড়াই , দুর্গাপুর : লোকসভা ভোট পেরিয়েও হাসপাতাল সারায়ের জন্য এগিয়ে এলো না কোনো রাজনৈতিক মহল। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার অন্তর্গত বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা।দেখে বোঝাই যায় না এটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না কি জঙ্গল।স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারিপাশ দেওয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল,এখন তা মানুষের যাতায়াতের রাস্তায় পরিনত হয়েছে।হাসপাতাল চত্ত্বরে ঝোপ ঝাড়ে ভর্তি,ছাগল গরুও চড়ে,আর বড়ো বড়ো উইভান্ডার।বর্ষায় উপদ্রপ বিষাক্ত পোকামাকড় থেকে বিষাক্ত সাপ খোপ।

 

হাসপাতালে ভর্তি বিষাক্ত পর্থেনিয়াম যা থেকে আরো বেশি রোগের উপক্রম।এছাড়াও বর্ষায় হাসপাতালের দেওয়ালের ফাটলে লতা গাছ।
হাসপাতালে আছেন একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার আর একজন এলোপ্যাথিক।হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারবাবু প্রতিদিন আসেন এলোপ্যাথিক ডাক্তারবাবু না এলে ফার্মাসিষ্ট কর্মীরাই অসুধ দিয়ে দেন রোগীদের।সেইজন্য এলাকার মানুষ এই হাসপাতালের উপর ভরসা রাখতে পারেন না।বামফ্রন্ট আমল থেকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র এই হাল।রোগীরাও হাসপাতালে ঢোকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।অনেক বছর আগে হাসপাতালে ডাক্তার বাবু ছিল,দশ পনেরো শয্যা বিশিষ্ট বেড ওছিল,চিকিৎসাও হতো ভালো।কিন্তূ একসময় এই হাসপাতালে সমস্ত কিছু চুরি হয়ে যায়,তার পর থেকে আর সারায় হয়নি।

IMG 20190806 WA0073 1

সেই 20 কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল,হটাৎ সম্যসা হলে মাতৃজান আসতে আসতে অনেক কষ্টে ভুগতে হয় গর্ভবতী মায়েদের।যেতে যেতে সময় লাগে ঘন্টা খানেক। ডাক্তারবাবুও তার চেম্বারে বসেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।হাসপাতালের পুরো ভগ্ন দশ।ছাদের পুরো ফাটল দশা।হাসপাতালে চিকিৎসা করার কোনো সরঞ্জাম ই নেই।শুধুমাত্র বলা যায় এটা একটা ভুতের বাংলো। খবরের জেরে কি স্বাস্থ্যদপ্তর নড়েচড়ে বসবে না কি একই অবস্থা থেকে যাবে শিবপুরের এই সাস্থ্যকেন্দ্র এখন দেখার বিষয় এটায়।

সম্পর্কিত খবর