বাংলা হান্ট ডেস্ক: একটা সময় কবি সাহিত্যিকদের কল্পনায় চাঁদের (Moon) সৌন্দর্য নিয়ে বিশেষ বর্ণনা পাওয়া যেত। কেউ আবার তাঁর প্রেমিকার সাথে চাঁদের সৌন্দর্যের তুলনা করতেন। তবে সেই সমস্ত কল্পনার পাশাপাশি এখনকার দিনে অতি বাস্তব হয়ে উঠেছে চাঁদ।
তাই চাঁদ নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের (Space Scientist) গবেষণা-ও দিনে দিনে পৌঁছে গিয়েছে অন্য স্তরে। বিশেষ করে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত চাঁদ নিয়ে যে সমস্ত গবেষণা করে চলেছেন তা চাঁদের প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণ আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আর এই কারণেই এখন সাধারণ মানুষেরও চাঁদ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। এরই মধ্যে চাঁদ নিয়ে সামনে এল এক দারুন খুশির খবর। নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি কোন কল্প বিজ্ঞান নয়, এবার বাস্তবে চাঁদে ট্রেন (Moon Rail) চলবে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
নাসার দাবি, চাঁদে ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে তাদের মূল উদ্দেশ্য হবে সেই সমস্ত জায়গা গুলিতে ট্রেনের মতো পরিবহন ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া যেখানে সক্রিয় থাকবেন নভোচারীরা। আগামী দিনে চাঁদে ট্রেন চললে তা চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন এলাকায় মাটি সহ অন্যান্য উপকরণ বহন করার জন্য বিশেষ সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: IMF-এর চালে ফেঁসে গেল পাকিস্তান! উপায় না পেয়ে সমস্ত সরকারি কোম্পানি বিক্রির পথে শরীফ
নাসার বিজ্ঞানীরা এবার ট্রেনে চড়েই চাঁদে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছেন। তাই চাঁদেও ট্রেন চলার দিন আর বেশি দূরে নেই। সূত্রের খবর সমস্ত কিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে আগামী দশকের মধ্যেই নাকি চাঁদে রেল পরিবহন ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। তবে নাসা চাঁদে যে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে তা কিন্তু কোন যে সে ট্রেন নয়।
আসলে চাঁদের মাটিতে চালানোর জন্য নাসা যে ট্রেন তৈরি করতে চলেছে, তা এমন একটি নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি করা হবে যা আসলে চুম্বক চালিত রেলপথ। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই চাঁদে এই রোবট ট্রেন চালানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আগামী দিনে চাঁদে মিশন চালানোর সময় নভোচারীদের জন্য এই পরিবহন ব্যবস্থা একটি দারুণ বিকল্প হতে চলেছে। এই ট্রেন গুলি চলবে ফ্লোট প্রযুক্তিতে।
আসলে এই ফ্লোট প্রযুক্তি হল এমন এক ধরনের প্রযুক্তি যেখানে ট্রেন চালানোর জন্য ফ্লেক্সিবল লেভিটেশন ট্রাক ব্যবহার করা হয়। ট্রেনের চাকা এই ট্রাকের উপর দিয়ে উড়ে উড়েই এগিয়ে যাবে। জানা যাচ্ছে এই মুন রেল প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১.৬১ কিলোমিটার বেগে চলবে। নাসার বিজ্ঞানীদের তরফে জানানো হয়েছে ২০২১ সালে প্রথম এই প্রজেক্টের কথা ভাবা হয়েছিল। যা আসলে নাসার ‘ইনোভেটিভ অ্যাডভান্সড কনসেপ্টস’-র অন্তর্গত একটি নতুন প্রজেক্ট।